জরুরি বিভাগে কর্মরত নার্সের ভূমিকা
তদন্তে জানা গিয়েছে, ৯ অগাস্টের ঘটনায় আরজি কর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্মরত বেশ কয়েকজন নার্সের ভূমিকা রয়েছে। তাঁদের মধ্যে আরও কয়েকজনকে আগামী দিনে তলব করা হতে পারে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৯ অগাস্ট রাতে, হাসপাতালের এক মহিলা চিকিৎসককে কর্তব্যরত অবস্থায় ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা ঘটে। এই নারকীয় ঘটনার পর জুনিয়র চিকিৎসকরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালান। অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায় ইতিমধ্যেই আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পেয়েছেন। তবে নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, এ ঘটনায় আরও অনেকে জড়িত রয়েছেন, যাঁরা এখনও আইনের আওতায় আসেননি।
নির্যাতিতার বাবা-মায়ের অভিযোগ
নির্যাতিতার বাবা-মায়ের অভিযোগ, ঘটনার রাতে যাঁরা কর্মরত ছিলেন, তাঁদের যথাযথভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। তাঁরা সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন, যার পর হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই নতুন করে সক্রিয় হয়। এর পরই চারজন নার্সকে তলব করা হয়।
তদন্তে সবচেয়ে আলোচিত নাম হলো নার্স শম্পা দাস। জানা গিয়েছে, শম্পা দাসের কাছে সেই রাতের একটি ভিডিও ছিল, যা তিনি মুছে ফেলতে বাধ্য হন। এই তথ্য ঘিরে নানা প্রশ্ন ও জল্পনা তৈরি হয়েছে। আন্দোলনের সময় তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি নিজেকে আড়ালে রেখেছিলেন।
সোমবার এই মামলার শুনানি কলকাতা হাইকোর্টে অনুষ্ঠিত হবে। সিবিআই-এর প্রাপ্ত নতুন তথ্য তদন্তে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে এবং প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে সহায়ক হতে পারে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন