আজ কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম লখনউ সুপার জায়ান্টসের খেলায় হতাশ হয়েই ঘরে ফিরতে হলো কলকাতাবাসীদের। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পরও শেষরক্ষা করতে পারলেন না রিঙ্কু সিং। জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২৪ রান, কিন্তু রিঙ্কু-হরসিত যুগলের প্রচেষ্টা থেমে যায় ১৯ রানেই। ম্যাচের শেষ দিকে দুর্দান্ত ফর্মে দেখা যায় লখনউ বোলারদের — ঘরের মাঠেই হার মানতে হয় কেকেআরকে।
টসে জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নেন কলকাতার অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানে। তবে ব্যাট হাতে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মনোভাব দেখায় ঋষভ পন্তের নেতৃত্বাধীন লখনউ সুপার জায়ান্টস। দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন নিকোলাস পুরান — মাত্র ৩৬ বলে অপরাজিত ৮৭ রানের ইনিংস খেলেন তিনি এবং ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন। তার সঙ্গে সমানতালে খেলেন মিচেল মার্শ, যিনি ৪৮ বলে করেন অপরাজিত ৮১ রান। এছাড়াও, আইডেন মার্করামের ব্যাট থেকে আসে ২৮ বলে ৪৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস। সব মিলিয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে লখনউ সংগ্রহ করে বিশাল ২৮৩ রান, যা কেকেআরের জন্য এক বিশাল চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়।
তবে কেকেআরও শুরুটা ভালোই করে। অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানে খেলেন ৬১ রানের ইনিংস, সঙ্গে ভেঙ্কটেশ আইয়ার যোগ করেন ৪১ রান। শুরুতে সুনীল নারিনের ব্যাট থেকে আসে ঝড়ো ৩০ রান। কিন্তু খেলার মাঝপথেই ছন্দপতন — একের পর এক উইকেট পতনে দল পড়ে চাপে। শেষদিকে রিঙ্কু সিং ১৫ বলে ৩৮ রান করে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু তীরে এসেই তরি ডুবল । সব প্রচেষ্টাই শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হল - জয়ের কাছাকাছি এসেও ৪ রানের ব্যবধানে জয়ী হল লক্ষৌ সুপার জায়েন্ট ।
আইপিএল ২০২৫-এ এটি কলকাতা নাইট রাইডার্সের তৃতীয় পরাজয়। এর আগে তারা হার মেনেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর (RCB) এবং মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের (MI) বিপক্ষে। এই হারের ফলে বর্তমানে পয়েন্ট টেবিলে কলকাতার অবস্থান ষষ্ঠ (৬) নম্বরে। অন্যদিকে, জয়লাভ করে লখনউ সুপার জায়ান্টস উঠে এসেছে চতুর্থ (৪) স্থানে।
কলকাতার পক্ষে এটি হতাশাজনক পরিণতি হলেও, এখনো টুর্নামেন্টের অনেক বাকি। রাহানেদের সামনে পরবর্তী ম্যাচগুলিতে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ রয়েছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন