জ্যৈষ্ঠেই শারদীয়া-সংবাদ বাংলা বিনোদন দুনিয়ায়! পুজোয় ছবিমুক্তির তালিকায় নন্দিতা রায়-শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ‘রক্তবীজ ২’, দেবের ‘রঘু ডাকাত’ ছিলই। সেখানেই এ বার যুক্ত হল শুভ্রজিৎ মিত্রের ‘দেবী চৌধুরাণী’। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত ছবিটি স্বাধীনতা দিবসে মুক্তি পেতে পারে, মে মাসের শুরুতে তেমনই কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল। পরিচালক পোস্টার ভাগ করে নিয়ে জানিয়েছেন, বড় বাজেটের ছবি। সম্ভবত তাই প্রযোজনা সংস্থা অ্যাডিটেড মোশন পিকচার্সের পক্ষ থেকে অপর্ণা দাশগুপ্ত পুজোয় এই ছবিটির মুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ষষ্ঠী থেকে দশমী— পাঁচটা দিন পুজোমণ্ডপের পাশাপাশি প্রেক্ষাগৃহেও ভিড় জমায় বাঙালি। পুজোয় ছবি মুক্তির সংখ্যা বাড়লে স্বাভাবিক ভাবেই দর্শকও ভাগ হয়ে যায়। বাণিজ্যের সাফল্যেও চলে টক্কর। এই দিকটি কি ভেবেছেন শুভ্রজিৎ? প্রশ্ন ছিল পরিচালকের কাছে। শুভ্রজিতের কথায়, “সমস্ত ছবি দর্শক দেখতে আসবেন। সমস্ত ছবিই বাণিজ্যে ভাল ফল করবে, একজন পরিচালক হিসাবে সেটাই আমার চাওয়া। পুজোর চার দিন তিন থেকে চারটি ছবি মুক্তি পেতেই পারে। বহু বছর ধরে সেটাই চলে এসেছে। এ বছর এখনও পর্যন্ত তিনটি ছবি মুক্তি পাওয়ার কথা। দর্শক ভাগ হলেও বাণিজ্যের ভাঁড়ারে টান পড়বে না, এমনটাই আশা করছি।
‘দেবী চৌধুরাণী’-তে ইংরেজ-বিরোধিতার বিষয়টি একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ। স্বাধীনতা যুদ্ধের শুরু যে সন্ন্যাসী বিদ্রোহ দিয়ে, সেই পটভূমিকায় উপন্যাস আবর্তিত। স্বাধীনতা দিবসে মুক্তি পেলে ছবিটি কি বেশি ভাল ফল করত? ওই সময়ে বাংলা ছবির ততটা ভিড়ও নেই। জানতে চাইতেই সে সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন শুভ্রজিৎ। তাঁর মতে, বড় বাজেটের ছবি সব সময় সাধারণত পুজোর জন্যই তোলা থাকে। এ ক্ষেত্রে তাঁর ভাবনার সঙ্গে মিলে গিয়েছে প্রযোজকের ভাবনা। পাশাপাশি, বড় ছবির প্রচারটাও বড় মাপের হওয়া উচিত। তার জন্য সময় প্রয়োজন। পুজোয় ‘দেবী চৌধুরাণী’ মুক্তি পেলে প্রচারের জন্য হাতে কিছুটা সময়ও পাওয়া যাবে, জানিয়েছেন পরিচালক।
ছবিতে নামভূমিকা অর্থাৎ ‘দেবী চৌধুরাণী’র ভূমিকায় শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। ‘ভবানী পাঠক’-এর চরিত্রে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। এ ছা়ড়াও থাকছেন সব্যসাচী চক্রবর্তী, বিবৃতি চট্টোপাধ্যায়, অর্জুন চক্রবর্তী, কিঞ্জল নন্দ, দর্শনা বণিক-সহ বাংলার এক ঝাঁক অভিনেতা। পরিচালক জানিয়েছেন, ছবিমুক্তির দিন ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে পুরো টিম চনমনে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন