পশ্চিমবঙ্গের ২২ বছর বয়সী আইন শিক্ষার্থী এবং ইনস্টাগ্রাম ইনফ্লুয়েন্সার শর্মিষ্ঠা পনোলিকে কলকাতা পুলিশ গুরুগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করেছে। তিনি 'অপারেশন সিন্দুর' নিয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন, যেখানে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেন এবং বলিউড সেলিব্রিটিদের নীরবতা নিয়ে সমালোচনা করেন। এই ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি করে এবং ইসলামিক মৌলবাদীদের ক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। ভিডিওটি মুছে ফেলার পরও, তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ দায়ের হয় এবং কলকাতা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারের পর, শর্মিষ্ঠাকে ১৪ দিনের বিচারিক হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানো, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, এবং জনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করার উদ্দেশ্যে অপমানজনক মন্তব্য করা।
এই গ্রেপ্তার নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী এই গ্রেপ্তারকে 'তুষ্টিকরণ রাজনীতি' বলে অভিহিত করেছেন এবং তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের খুশি করতে আইন প্রয়োগের অভিযোগ এনেছেন।
বলিউড অভিনেত্রী এবং বিজেপি সাংসদ কঙ্গনা রানাউত শর্মিষ্ঠার মুক্তির দাবি জানিয়ে বলেন, "আমি স্বীকার করি যে শর্মিষ্ঠা কিছু অপ্রিয় শব্দ ব্যবহার করেছেন, কিন্তু এমন শব্দ আজকাল অনেক তরুণই ব্যবহার করে। তিনি তার বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন, এবং সেটাই যথেষ্ট হওয়া উচিত। তাকে আর হয়রানি করা উচিত নয়।"
এই ঘটনাটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, ধর্মীয় সহিষ্ণুতা এবং সামাজিক মাধ্যমে ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশের সীমা নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু করেছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন