মুর্শিদাবাদ, ৬ মে ২০২৫ : সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের ডোমকল এলাকায় সাম্প্রদায়িক হিংসার জেরে নৃশংসভাবে নিহত হন হারাগোবিন্দ দাস ও তাঁর ছেলে চন্দন দাস। এই ঘটনায় রাজ্যজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলেও, নিহতদের পরিবার এখন আরও এক নতুন সঙ্কটের মুখোমুখি।
হারাগোবিন্দ দাসের স্ত্রী পারুল দাস এবং চন্দন দাসের স্ত্রী পিংকি দাস অভিযোগ করেছেন, তাঁরা স্থানীয় তৃণমূল কর্মী এবং পুলিশের পক্ষ থেকে নিয়মিত হুমকি পাচ্ছেন। তাঁদের দাবি, অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তোলায় তাঁদেরকে নিশানা করা হচ্ছে।
হারাগোবিন্দ দাসের স্ত্রী পারুল দাস ও পুত্রবধূ পিংকি দাস আরও জানিয়েছেন, তাঁরা নিয়মিত পুলিশি হেনস্তার মুখে পড়ছেন। রাত-বিরেতে থানায় ডেকে নেওয়া, ভয় দেখানো এবং স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের হুমকি – এসব কারণে তাঁরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাঁদের বাড়ি ভাঙার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। তাঁরা কেন্দ্রীয় বাহিনীর মাধ্যমে সুরক্ষা এবং ন্যায়বিচার দাবি করেছেন।
উল্লেখযোগ্যভাবে, পারুল ও পিংকি দাস রাজ্যপাল সি.ভি. আনন্দ বোসের কাছে একটি চিঠি লিখে নিরাপত্তা এবং বিচার নিশ্চিত করার আবেদন করেছেন। চিঠিতে তাঁরা অভিযোগ করেছেন যে, দোষীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করার চাপ তাঁদের ওপর ক্রমাগতভাবে বাড়ছে। প্রসঙ্গত, গত মাসে ধর্মীয় আইন নিয়ে স্থানীয় বিক্ষোভ চলাকালীন পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে, যার জেরে হারাগোবিন্দ ও চন্দন দাস নিহত হন। এই ঘটনার তদন্তে ইতিমধ্যে বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT) গঠন করা হয়েছে, এবং মুর্শিদাবাদ জেলায় ১৪৪ ধারা ও ইন্টারনেট পরিষেবা সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়।
তবে আক্রান্ত পরিবারের অভিযোগে নতুন করে প্রশ্ন উঠছে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা এবং সংখ্যালঘু-মেজরিটি সম্পর্ক নিয়ে। এখন দেখার, রাজ্য প্রশাসন এবং রাজ্যপাল এই পরিস্থিতিতে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন