![]() |
"সার্ভিস কালী" |
বর্তমান বাজারে সরকারি বা বেসরকারি চাকরি নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ নেই। নতুন করে চাকরি পাওয়া তো দূর, দেদারভাবে বিশ্বজুড়ে চলছে কর্মী ছাটাই। ঠিক এই পরিস্থিতিতেই দিশেহারা হয়ে মানুষ ভগবানের দরবারে ঠাঁই নিচ্ছে।
বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর, আর এই কথার ওপর বিশ্বাস করেই দিনের পর দিন ধরে মানুষ তাই ছুটে যান স্বয়ং মা কালীর কাছে। সরকারি চাকরি মানেই "সার্ভিস কালী", হ্যা শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। কথিত আছে এই মন্দিরে মানত করলেই নাকি মেলে সরকারি চাকরি।বহু দূর-দূরান্ত থেকে লক্ষ লক্ষ ভক্তের আগমন হয় বাঁকুড়ার সোনামুখী অঞ্চলের এই সার্ভিস কালীর মন্দিরে। এই মন্দিরের মা কালীর মহিমা এতই বেশি যে মানত করলেই মিলবে সরকারি চাকরি। বর্তমানে কলকাতা থেকে শুরু করে দিল্লি, মুম্বাই এরকম বহু শহর থেকে মানুষ ছুটে আসেন এই মন্দিরে মায়ের কাছে।
কথিত আছে, এক সময় ধর্মতলায় ষোলো আনা কালী নামে একটি মা কালীর পুজো করা হতো। ৮২ বছর সোনামুখী পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের বিবাদের জেরে কালী পুজাটির দু ভাগে ভাগ হয়ে যায়।
সেই সময়ে সেখানকার এক ব্যবসায়ী তার পরিবহনের জন্য রুট পারমিট সংক্রান্ত বিষয়ে সমস্যায় জর্জরিত হয়েছিলেন। এলাকায় নতুনভাবে চালু হওয়া এই মা কালীর কাছে তিনি মানত করেছিলেন তার সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে। পুজো মিটতেই সেই ব্যবসায়ীর সমস্যা দূর হয়ে যায়। এরপরই এই মা কালীর মহিমা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এলাকার যুবকরা ও নিজেদের চাকরি পাওয়ার মানত করলে সেই মনস্কামনা ও পূরণ করেন মা কালী। এরপর থেকেই লোকমুখে পরিচিত হতে থাকে এই "ষোলো আনা সার্ভিস কালী"।
সেখানকার এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, পৌরসভায় বহু প্রাচীন কালীপুজোর মধ্যে এই ষোলো আনা সার্ভিস কালী অন্যতম। জনশ্রুতি রয়েছে নিষ্ঠা ভরে পূজা করলে এই সার্ভিস কালী চাকরি তথা রুটি রোজগারের ব্যবস্থা করে দেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন