বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার খিলক্ষেত এলাকার সার্বজনীন শ্রীশ্রী দুর্গা মন্দিরে সোমবার সন্ধ্যায় হামলা চালিয়েছে মুসলিম জনতা । মূর্তি পূজোকে “হারাম” আখ্যা দিয়ে মন্দিরের পুরোহিত ও ভক্তদের মৌলবাদীরা হুমকি দিয়ে গেছে যে আজ মঙ্গলবার বেলা ১২ টার মধ্যে মন্দির ভেঙে ফেলতে হবে । অন্যথায় তারা এসে মন্দির ভেঙে দেবে । এই ঘটনায় স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও মন্দির কমিটির সদস্যরা জানান,সোমবার সন্ধ্যায় হঠাৎ করেই একদল মুসলিম যুবক লাঠিসোঁটা নিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করে। তারা মন্দিরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে এবং উপস্থিত ভক্তদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক শ্যামল চন্দ্র দাস বলেন,’তারা আমাদের কোনো কথা শোনার আগেই মন্দিরে ঢুকে ভাঙচুর শুরু করে। তারা চিৎকার করে বলছিল, এই মন্দির এখানে থাকতে পারবে না এবং কাল ১২টার মধ্যে আমরা নিজেরাই এটা ভেঙে ফেলব। আমরা এই ঘটনায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’
এই আল্টিমেটামের পর থেকে এলাকার হিন্দুদের মধ্যে চরম আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে । স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা অবিলম্বে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ এবং মন্দিরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন। তারা ইতইধ্যে বিষয়টি স্থানীয় থানা ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন। খবর পেয়ে খিলক্ষেত থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা ঘটনাটিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে দেখছে। এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
খিলক্ষেত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন,’আমরা অভিযোগ পেয়েছি এবং তদন্ত শুরু করেছি। মন্দিরের নিরাপত্তায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যারা এই ঘটনার সাথে জড়িত, তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।’ এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। আজ বেলা ১২টার আল্টিমেটামকে ঘিরে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে প্রশাসন সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে জানা গেছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন