কিন্তু এটি কেবল আত্মহত্যা ছিল না - এটি ছিল একজন নির্যাতিত নারীর ধ্বংসের গাথা, যাকে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা মেরে মেরে ভেঙে দিয়েছিল, তাঁর কাছ থেকে জোরপূর্বক অশ্লীল ও অপমানজনক কাজ করানো হয়েছিল এবং শেষ পর্যন্ত তাঁকে একাকীত্বের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল।
কে ছিলেন বিপঞ্চিকা? কেরালার কোল্লামের বাসিন্দা। ২০১৮ সালে শারজাহ গিয়েছিলেন, একটি স্বনামধন্য কোম্পানিতে ক্লার্কের চাকরি পেয়েছিলেন। ২০২০ সালে নীতীশ নামের এক ব্যক্তিকে বিয়ে করেন। একটি মেয়ে হয়েছিল, যাকে তিনি একাই লালন-পালন করছিলেন।
পরিবারের সদস্যদের মতে, স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকেরা প্রায়শই তাঁকে শারীরিকভাবে মারধর করত। তাঁর কাছ থেকে জোরপূর্বক এমন কাজ করানোর চেষ্টা করা হয়েছিল যা 'পর্নোগ্রাফির মতো' ছিল। সমস্ত টাকা, পাসপোর্ট, পরিচয়পত্র ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল। মেয়ের জন্মের পর স্বামী তাঁর সাথে থাকতে অস্বীকার করেন।
ফেসবুকে লেখা শেষ বার্তা: "তারা আমাকে মানুষ মনে করেনি… আমাকে অসম্মান করেছে, নোংরা কাজের জন্য বাধ্য করেছে…" ৮ জুলাই শারজাহর একটি আবাসিক ভবনে বিপঞ্চিকার ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায় এবং তাঁর পাশে মেয়ের শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছিল। অনুমান করা হচ্ছে যে প্রথমে মেয়েকে মারা হয়েছিল, তারপর তিনি নিজে আত্মহত্যা করেন। ফরেনসিক রিপোর্ট এবং পুলিশি তদন্ত চলছে, তবে প্রাথমিক সিদ্ধান্তে এটি স্পষ্ট যে এটি কোনও সাধারণ আত্মহত্যা নয়, বরং একটি ব্যবস্থার ব্যর্থতা।
বিপঞ্চিকার মা শৈলজা ভারত সরকার, কেরালা পুলিশ এবং ভারতীয় দূতাবাসের কাছে আবেদন করেছেন যেন দ্রুত মৃতদেহ ভারতে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হয় এবং নীতীশ ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে হত্যা ও শোষণের মামলা চালানো হয়। সংযুক্ত আরব আমিরাতের পুলিশ যেন নিরপেক্ষ তদন্ত করে এবং অভিযুক্তকে শাস্তি পায়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন