মালদ্বীপের ৬০তম স্বাধীনতা দিবসে বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মালেতে পা রাখা শুধু প্রটোকল নয়, দুই দেশের সাম্প্রতিক টানাপোড়েনের পর এক গুরুত্বপূর্ণ বার্তা। ২০২৩ সালে ‘ইন্ডিয়া আউট’ স্লোগানকে হাতিয়ার করে ক্ষমতায় এসেছিলেন মালদ্বীপের বর্তমান প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মইজ্জু। শপথ নেওয়ার পর প্রথম সফরে মোদিকে আতিথ্য দিয়ে তাঁর সেই অবস্থানই বড়সড়ভাবে বদলে ফেললেন মইজ্জু।
বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশের দুর্বল অর্থনীতি আর চীনের বিপুল ঋণের বোঝা মালদ্বীপকে ফের ভারতের দিকে টেনে আনছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পর্যটন বয়কটের ডাক, ভারতীয় সেনা সরানোর নির্দেশ সবকিছু মিলিয়ে সম্পর্ক যখন তলানিতে, তখন ভারতের থেকে আর্থিক সহায়তা পেতে এবং চীনের প্রভাব এড়াতে পথ বদলাল মালে প্রশাসন এমনটাই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।মোদির এই সফরে দুই দেশের মধ্যে সামুদ্রিক নিরাপত্তা, পর্যটন, অবকাঠামো আর মাছ ধরার শিল্পে একাধিক চুক্তি হওয়ার ইঙ্গিত মিলেছে। ‘নেবারহুড ফার্স্ট’ আর ‘ভিশন মহাসাগর’-এর অংশ হিসেবে মালদ্বীপকে কাছে টেনে রাখতে মরিয়া দিল্লিও। কৌশলগতভাবে ভারত মহাসাগরে চীনের দখলদারি আটকাতে মালদ্বীপের গুরুত্ব অপরিসীম।প্রেসিডেন্ট মইজ্জুর শপথের পর প্রথমবারের জন্য মোদির এই সফর দুই দেশের সম্পর্কে নতুন অধ্যায় শুরু করবে বলেই মত আন্তর্জাতিক মহলের।
একসময় যিনি ‘ইন্ডিয়া আউট’-এর মুখ ছিলেন, সেই মইজ্জুর এই বন্ধুত্বের বদলকে বিশেষজ্ঞরা অর্থনৈতিক চাপে ‘সময়োপযোগী কূটনীতি’ বলছেন। চীনের ঋণের বোঝা শোধের ক্ষমতা নেই মালের। ফলে একদিকে বেজিং দূরত্ব বাড়িয়েছে, অন্যদিকে দিল্লির থেকে সহায়তা পেতে মইজ্জুর শিবিরকে ভারতের সঙ্গেই সম্পর্ক গড়তে হচ্ছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন