
ঘটনার শিকার ষোলো বছরের এক কিশোরী, যে ২০২০ সালের ১০ আগস্ট নিখোঁজ হয়ে যায়। পুলিশের তদন্তে উঠে আসে, মিসড কলের সূত্রে অভিযুক্ত রহমান আলির সঙ্গে তার পরিচয় হয়েছিল। রহমান এবং তার দুই বন্ধু জামিরুল হক ও তমিরুল হক মিলে মেয়েটিকে কৌশলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর টানা দশ দিন ধরে তাকে একাধিক জায়গায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ (Rape) করা হয়। শেষে, নিজের গেঞ্জি দিয়ে শ্বাসরোধ করে মেয়েটিকে খুন (Death) করে জামিরুল।
নিরুদ্দেশ হওয়ার পর কিশোরী এক আত্মীয়কে ফোন করে জানিয়েছিল, তাকে চটের হাটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এরপরেই তার সঙ্গে আর কোনও যোগাযোগ হয়নি। তদন্তে নেমে পুলিশ প্রথমে রহমানকে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদে সে সেপটিক ট্যাঙ্কে দেহ ফেলার কথা স্বীকার করে। পরে ধরা পড়ে বাকি দু'জনও।
সরকারি আইনজীবী দেবাশিস দত্ত জানান, তদন্তে নাবালিকাকে খুনের জন্য ব্যবহৃত জামিরুলের গেঞ্জি উদ্ধার হয়। একাধিক হোটেলে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সাক্ষ্য দিয়েছেন সেইসব হোটেলের কর্মী-সহ মোট ২৭ জন। উদ্ধার হয়েছে অভিযুক্তদের মোবাইল ফোনও, যা ঘটনার গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন