Top News

শেখ মুজিবের কবর ভাঙতে গিয়ে জনতার তাড়া খেয়ে পালাল ইউনূসের পোষ্য পুত্ররা

 


বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কবর ভাঙতে গিয়ে বুধবার (১৬ জুলাই) আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী ও স্থানীয়দের সম্মিলিত প্রতিরোধের মুখে পড়ল মোল্লা মুহাম্মদ ইউনূসের পোষ্যপুত্ররা। প্রাণ নিয়ে পালিয়ে গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আশ্রয় নেন পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের চর নাহিদ ইসলাম-আখতার হোসেন-হাসনাত আবদুল্লা ও সারজিস আলমরা।

পরে সেনাবাহিনীর বিশেষ পাহারায় গোপালগঞ্জ ছেড়ে ঢাকায় পালিয়ে যান। পোষ্যপুত্রদের এমন অপমানে চটেছেন তালিবান নেতা মোল্লা ওমরের উত্তরসূরি মোল্লা ইউনূস। এনসিপি নেতাদের অপমানের যোগ্য বদলা নেওয়া হবে হুঙ্কার ছেড়েছেন তিনি।


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর কবর গুঁড়িয়ে দেওয়ার কর্মসূচি নিয়েছিল পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের মদতপুষ্ট জাতীয় নাগরিক পার্টি। দলটির অন্যতম শীর্ষ নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ ও নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারি গত কয়েকদিন ধরেই হুঙ্কার দিয়েছিলেন, ৩২ নম্বর ধানমন্ডির মতোই গুড়িয়ে দেওয়া হবে বঙ্গবন্ধুর কবর। পাকিস্তান ভাঙার মূল নায়কের কোনও চিহ্ন রাখা হবে না বদলের বাংলাদেশে। পাল্টা হুঙ্কার ছেড়েছিলেন গোপালগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীরা। বঙ্গবন্ধুর কবরের একটি ইটে হাত দিলে রক্তগঙ্গা বইয়ে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন।


বঙ্গবন্ধুর কবর গুঁড়িয়ে দেওয়ার কর্মসূচি যাতে নির্বিঘ্নে পালিত হয় তার জন্য সক্রিয় হয়েছিল পুলিশ ও প্রশাসন। এনসিপির কর্মসূচিতে সহায়তা করতে বুলডোজার-সহ কবর ভাঙার যাবতীয় সরঞ্জাম জোগাড় করে রেখেছিল। এদিন সকালে পুলিশ ও প্রশাসন বঙ্গবন্ধুর কবর সংলগ্ন এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করতেই প্রতিরোধ গড়ে তোলেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা। পুলিশের সঙ্গে দফায়-দফায় সংঘর্ষ বাঁধে তাদের। এর পরে গোপালগঞ্জ শহরের পৌর পার্ক ও লঞ্চঘাট এলাকায় পাকিস্তানপন্থী এনসিপি'র কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। ওই সংঘর্ষে কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হয় গোটা এলাকা। এনসিপির সভার জন্য জড়ো করা চেয়ার রাস্তায় এনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনাবাহিনী সাউন্ড গ্রেনেড, রবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। তবুও পরিস্থিতি শান্ত হয়নি। গত ৫ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধুর ৩২ নম্বর ধানমন্ডির বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়ার হোতা আবদুল হাসনাত, সারজিস আলম ও নাহিদ ইসলাম সমাবেশস্থলে পৌঁছনো মাত্র ফের শুরু হয় ঝামেলা। আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের রণংদেহী মূর্তি দেখে ঊর্ধ্বশ্বাসে পালাতে থাকে আইএসআইয়ের চররা। নাহিদদের তাড়া করে কয়েক হাজার আওয়ামি লীগ নেতা-কর্মী ও স্থানীয় মানুষ। প্রাণ বাঁচাতে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আশ্রয় নেন এনসিপি নেতারা। পরে সেনাবাহিনীর পাহারায় ঢাকা ফেরেন।


আওয়ামী লীগ ও জাতীয় নাগরিক পার্টির মধ্যে সংঘর্ষে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জন্মস্থান গোপালগঞ্জ। দুই দলের মধ্যে সংঘর্ষ থামাতে গুলি চালায় পুলিশ। ওই গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন তিন জন। তাঁদের মধ্যে দুই জনের পরিচয় জানা গিয়েছে। তাঁরা হলেন গোপালগঞ্জ শহরের উদয়ন রোডের বাসিন্দা সন্তোষ সাহার ছেলে দীপ্ত সাহা (২৫) ও কোটালীপাড়ার রমজান কাজী (১৮)। গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৯ জন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শেষ পর্যন্ত গোটা গোপালগঞ্জে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও বিজিবিকে নামানো হয়েছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যূত হওয়ার ১১ মাসের মাথায় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের এমন প্রতিরোধে হতচকিত হয়ে পড়েছে রাজনৈতিক মহল।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন