ফলে ওই দিন গ্রিন লাইন-২-এ কোনও পরিষেবা চলবে না। তবে ব্লু লাইন অর্থাৎ দক্ষিণেশ্বর থেকে শহিদ ক্ষুদিরাম পর্যন্ত স্বাভাবিক পরিষেবা মিলবে। এই রুটে যাত্রীদের ভ্রমণে কোনও প্রভাব পড়বে না বলে জানানো হয়েছে। মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে যাত্রীদের এই অস্থায়ী পরিবর্তনের জন্য আগাম সতর্ক করা হয়েছে এবং যাতায়াতের পরিকল্পনা সে অনুযায়ী করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, পিলারে ফাটলের জেরে অনির্দিষ্টকালের জন্য কবি সুভাষ স্টেশন বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। ফলে আপাতত শহিদ ক্ষুদিরাম পর্যন্ত চলবে মেট্রো। ভোগান্তির আশঙ্কায় যাত্রীরা। প্রতিদিন কয়েক লক্ষ মানুষ মেট্রোয় যাতায়াত করেন। অন্যান্য দিনের মতোই সোমবার দুপুরে ঠাসা ভিড় ছিল মেট্রো স্টেশনগুলোতে। জানা গিয়েছে, সোমবার বেলা ১ টা নাগাদ কবি সুভাষগামী একটি মেট্রো শহিদ ক্ষুদিরামে পৌঁছেই থমকে যায়। তারপর দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে গেলেও পরিষেবা স্বাভাবিক হয়নি। পরবর্তীতে, দক্ষিণেশ্বর থেকে শহিদ ক্ষুদিরাম পর্যন্ত আপ ও ডাউন উভয় লাইনেই পরিষেবা শুরু হয়। তবে শহিদ ক্ষুদিরামে খালি করে দেওয়া হচ্ছিল রেক।
ফাঁকা রেক পাঠানো হচ্ছে কবি সুভাষে। দীর্ঘক্ষণ পর নীরবতা ভাঙে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে, ভারী বৃষ্টির জেরে কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশনের পিলারে ফাটল দেখা দিয়েছে। তার ফলেই পরিষেবা চালু করা সম্ভব নয়। জানা যাচ্ছে, আপাতত শহিদ ক্ষুদিরাম থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত চলবে মেট্রো। কলকাতা মেট্রোর একজন উচ্চপদস্থ আধিকারিক আজকাল ডট ইন-কে জানিয়েছেন, আপ প্ল্যাটফর্মটিকে পুনর্নির্মান করা হবে। এর জন্য যে অংশটুকু ভাঙা দরকার সেইটুকুই ভেঙে ফেলা হবে। ইতিমধ্যেই এই সংক্রান্ত কাজ শুরু গিয়েছে। পুরোদমে কাজ শুরু হবে আগস্টে। ফাটলের কারণ হিসেবে মেট্রো কর্তৃপক্ষ দায়ী করেছেন অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতকে।
মেট্রো রেলের জেনারেল ম্যানেজার পি উদয় কুমার রেড্ডি মঙ্গলবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, স্টেশনের ওই চারটি পিলার এতটাই দুর্বল হয়ে গিয়েছে যে, তা সারাই করা সম্ভব নয়। ভেঙেই ফেলতে হবে। কলকাতা মেট্রোর ৪০ বছরের ইতিহালে প্রথমবার কোনও স্টেশন ভেঙে ফের নতুন করে তৈরি করা হবে। ৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ ব্লু লাইনের দক্ষিণ অংশটি ২০০৯-১০ সালে দুটি ধাপে সম্প্রসারিত হয়েছিল, প্রথমটি ছিল তৎকালীন টালিগঞ্জ বা উত্তম কুমার মেট্রো স্টেশনের মধ্যে গড়িয়া বাজার (কবি সুভাষ) পর্যন্ত। দক্ষিণ প্রান্তের চূড়ান্ত অংশটি ২০১০ সালের ৭ অক্টোবরে সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল। মোট ৪৮টি পিলারের মধ্যে চারটিতে ফাটল দেখা দিয়েছে। মেট্রোর তরফে জানানো হয়েছে, পুরো কাজ সম্পন্ন হতে প্রায় ন'মাস সময় লাগতে পারে। তারপর থেকে ফের স্বাভাবিক হবে মেট্রো পরিষেবা।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন