আইআইএম জোকায় (IIM Joka) ছাত্রীকে ধর্ষণের (Rape incident) ঘটনায় শনিবার সকালে কলেজ ক্যাম্পাসের সামনে তুমুল বিক্ষোভ দেখাল কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতা আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখান নেতা-কর্মীরা। বিক্ষোভ সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হলে তুমুল বচসা বাঁধে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে।
গতকাল রাতে আইআইএম কলকাতার দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্র কাউন্সেলিং-এর জন্য তারই এক সহপাঠী ছাত্রীকে হস্টেলে ডেকে পাঠায়। ভিজিটরস রুমে ওই ছাত্রীকে ঠান্ডা পানীয় ও কিছু খাবার দেন অভিযুক্ত ছাত্র। পুলিশের পক্ষ থেকে জানা গেছে, সেই পানীয়তে মেশানো হয়েছিল মাদক। তা পান করার পরই অজ্ঞান হয়ে পড়ে ছাত্রীটি। তারপর ওই ছাত্রীর ওপর নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগ। জ্ঞান ফেরার পর তিনি প্রতিবাদ করলে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে দাবি করেন নির্যাতিতা। এরপর গোটা ঘটনায় তদন্তে নামে হরিদেবপুর থানার পুলিশ। কর্ণাটকের বাসিন্দা আইআইএম কলকাতার দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রকে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। নির্যাতিতার মেডিকেল রিপোর্ট ও বয়ানের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
এদিন সকাল থেকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কলেজ ক্যাম্পসের সামনে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেস (Congress) কর্মীরা। তোলা হয় স্লোগান। বিক্ষোভ সামাল দিতে ছুটে আসে পুলিশ (Police)। তুমুল বচসা শুরু হয় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে। আটক করা হয় বেশ কয়েকজন কংগ্রেস কর্মীদের। কংগ্রেসের দাবি, 'এই ঘটনায় নিরাপত্তারক্ষীদের ভূমিকা নিয়েও তদন্ত হওয়া উচিত। কোনওভাবে তারা অভিযুক্তকে সহায়তা করেছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হোক। পাশাপাশি দোষীদের দ্রুত কঠোর শাস্তি চাই।'
উল্লেখ্য, ধর্ষণের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত আইআইএম কর্তৃপক্ষ কোনও কথা বলেন নি। তাহলে কি ক্যাম্পাসের ভেতরের কোনও গোপনীয়তা আড়াল করার জন্য মুখে কুলুপ এঁটেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। সবটা সামনে আসবে প্রকৃত তদন্তের পর।।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন