বৃহস্পতিবার শিক্ষকদের ওপর লাঠিচার্জ করে দিল্লির পুলিশ। এসএসসি(SSC) পরীক্ষা নিয়ে প্রতিবাদ করায় হামলা চলে তাঁদের ওপর।
স্ফুলিঙ্গ দেখা যায় গত বছরই। সিজিএল (CGL) পরীক্ষার পর। টায়ার-১ এর ফলাফলের সময়েই অসাম্য ও কিছু গোলযোগের ছায়া লক্ষ করেন অনেকেই। কয়েকদিন আগেই ঘটে ফেজ-১৩(Phase-XIII) পরীক্ষা। বাড়তে থাকে সমস্যার মাত্রা। একত্রিত হন শিক্ষক, ছাত্র আর পরীক্ষার্থীরা। 'দিল্লি চলো' আন্দোলনের ডাক দিয়ে রাজধানীর যন্তর-মন্তর সহ আরো কিছু জায়গায় প্রতিবাদ চলে। আন্দোলনকারীদের দাবি, সমস্যার অন্ত নেই এসএসসিতে। তাঁদের মতে বয়োমেট্রিকের জটিলতা, পরীক্ষাকেন্দ্র নিয়ে সমস্যা থেকে শুরু করে একাধিক প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে পরীক্ষার্থীদের।
আজ রাজধানীতে আন্দোলনরত শিক্ষক ও ছাত্রদের সঙ্গে বচসা শুরু হয় দিল্লি পুলিশের। প্রতিবাদের কন্ঠরোধ করার আপ্রাণ চেষ্টা চলতে থাকে। শুরু হয় লাঠিচার্জ, ধস্তাধস্তি। বহু শিক্ষক-শিক্ষিকারা সামিল হয়েছিলেন এই আন্দোলনে। উদ্দেশ্য ছিলো ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে থেকে তাদের জয় সুনিশ্চিত করা। কিন্তু আক্রান্ত হলেন তাঁরাও। পুলিশবাহিনীর চূড়ান্ত অত্যাচারে জখমও হলেন বহু আন্দোলনকারী।
প্রশ্ন আসে, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলি চাকরি প্রদান করতে গিয়ে যদি এমন সব ভুল ত্রুটি করে ফেলে, এবং নায্য প্রতিবাদ করা হলে যদি সরকার পক্ষ থেকেই গায়ের জোরে তা রোধ করার চেষ্টা করা হয়, তা হলে চাকরিপ্রার্থীরা কাকে ভরসা করবেন?
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন