২০১৫–২০২৫:
পরিবর্তন, সংগ্রাম এবং আত্মবিশ্বাসে উদ্দীপিত ভারতীয় ফুটবলের দশক। এমনি এক সময়ে, বিশ্বমঞ্চে
ভারতীয় ফুটবলের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছেন কিংবদন্তি সুনীল ছেত্রী। ফুটবলাঙ্গনে কোচদের
বার বার বদল হলেও, ভারতীয় দলদের সামনের দিকে এগিয়ে নিতে ভারত পুরোপুরি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ভিশন ২০৪৭ অর্জনে সচেষ্ট ভারত যাতে ধারাবাহিকতার সঙ্গে এগিয়ে চলে, সেই লক্ষ্য নিয়ে
এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হলো গত দশ বছরের ইতিহাস, পারফরম্যান্স, প্লেয়ার উন্নয়ন, কোচিং,
পরিকাঠামো, র্যাঙ্কিং এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা।
সংক্ষিপ্ত ইতিহাস (২০১৫–২০২৫)
২০১৫–২০১৯:
কনস্ট্যানটাইনের বাস্তবায়ন ও ছেত্রীর উন্মোচন
স্টিফেন
কনস্ট্যানটাইনের দ্বিতীয় দফার অধীনে (২০১৫–২০১৯) ভারতীয় ফুটবলে ফিরে আসে দৃঢ় প্রতিরক্ষা
ও দ্রুত পাল্টা আক্রমণের কৌশল। এই সময়ে:
- ২০১৯
সালে আট বছরের বিরতির পর এএফসি এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জন।
- ২০১৭
সালে সর্বোচ্চ ফিফা র্যাঙ্কিং – ৯৬।
- জয়লাভ
করে ২০১৭ ত্রিদেশীয় সিরিজ, ২০১৮ আন্তঃমহাদেশীয় কাপ এবং ২০১৮
এসএএফএফ চ্যাম্পিয়নশিপে রানার্স‑আপ।
এ
সময়ে সুনীল ছেত্রী ছিলেন ভারতের আক্রমণের মূল চালিকাশক্তি, গুণগত দলগুলোর বিরুদ্ধে
গোলের ধারায় দলের এগিয়ে চলাকে সঙ্গী করেছিলেন।
২০১৯–২০২৪:
স্টিমাচে্র অধীনে কৌশলগত চ্যালেঞ্জ
মে
২০১৯‑তে কনস্ট্যানটাইনের জায়গায় দায়িত্ব নেন প্রাক্তন ক্রোয়িশ বিশ্বকাপ ফুটবলার ইগর
স্টিমাচ্। তিনি আধুনিক, বলের আধিপত্যভিত্তিক ফুটবলের আশা নিয়ে এসেছিলেন এবং নতুন
তরুণদের সুযোগ দিয়েছিলেন, যেমন আনিরুদ্ধ থাপা, সাহাল আব্দুল সামাদ ও লিস্টন কোলাকো।
আইনি মুহূর্তগুলি:
- ২০২১
এসএএফএফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়।
- ২০২২
বিশ্বকাপ যোগ্যতায় চরম সংগ্রাম,
গ্রুপে তৃতীয় অবস্থান।
- কাতার
(২০২১) এবং আফগানিস্তানের
বিরুদ্ধে ড্র, যা সম্ভাবনার সাথে অনির্ধারিত পারফরম্যান্সের প্রমাণ।
২০২৪‑এ
ভারত ২০২৪ এএফসি এশিয়ান কাপের নকআউট পর্যায়ে যাওয়ার ব্যর্থতা এবং কৌশলগত অমিল ও স্কোয়াড
ব্যবস্থাপনায় প্রশ্ন তুললে স্টিমাচে্র দায়িত্ব শেষ হয়।
২০২৩–২০২৫:
মারকেজের পদ্ধতিগত স্থিতিশীলতা
অন্তর্বর্তীকালীন
দায়িত্বপ্রাপ্ত কোচ থেকে পুরোপুরি দায়িত্ব নেওয়া ম্যানোলো মারকেজ, যিনি এফসি
গোয়া পরিচালনা করেছেন, আনলেন নিয়মিততা ও কাঠামো। যদিও তার সময়সীমা ব্যক্তিগত কারণে
সংক্ষিপ্ত হয়, তবুও তিনি:
- আইএসএল-এ
তরুণদের সুযোগ দিয়েছিলেন, যেমন নধকুমার শেঠ ও পার্থিব গোগৈ।
- সংক্ষিপ্ত
পাসিং ও প্রেসিং প্যাটার্নে মনোনিবেশ করেছিলেন।
- ২০২৪
হিরো ত্রিদেশীয় সিরিজ
ও বিভিন্ন ম্যাচে ভারতের আক্রমণ ভাণ্ডারে কিছু শক্তি ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করেন।
২০২৫–বর্তমান:
খালিদ জামিল - স্বদেশী কোচ হিসেবে
আত্মপ্রকাশ
১
আগস্ট, ২০২৫‑এ এআইএফএফ
ভারতের জাতীয় দলে দায়িত্বে দ্বিতীয় ভারতীয় কোচ খালিদ আহমেদ জামিলকে নিয়োগ করে,
১৩ বছরের দীর্ঘ অপেক্ষার পর মাত্র একমাত্র ভারতীয় (সর্বশেষ ছিলেন সাভিও মেদেইরা, ২০১১–১২)।
তারুণ্য
ও দর্শন
২১
এপ্রিল ১৯৭৭‑এ কুয়েতে জন্মগ্রহণ করা জামিলের প্রগতিশীল ফুটবল যাত্রা শুরু হয় মাহিন্দ্রা
ইউনাইটেডে ১৯৯৭ সালে; পরবর্তীতে মুম্বাই এফসিতে যোগ দেন। ১৯৯৮–২০০৬ সময়কালে
ভারতীয় দলে ৪০ ম্যাচে ৪ গোল করেন। ২০০৯‑এ ইনজুরি তাঁকে খেলোয়াড়ি থেকে অবসরীভূত
করেছিল।
পরবর্তী
সময়ে তিনি মুম্বাই এফসিতে পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন (২০০৯–১৬) এবং আলোচিত
হন কৌশলগত বাস্তববাদিতা ও দক্ষ তরুণদের বিকাশের জন্য। ২০১৭‑এ তাঁর আইজওয়াল এফসিকে
অপ্রত্যাশিত আই-লিগ চ্যাম্পিয়ন করা, যেটি ভারতীয় ফুটবলের অন্যতম বড় আন্ডারডগ
গল্প।
আইএসএল‑এ
তিনি নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি‑র অন্তর্বর্তী ও পরবর্তী পর্যায়ে প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব
পালন করেন, যেখানে তিনি একমাত্র ভারতীয় কোচ হিসেবে আইএসএল প্লে‑অফে পৌঁছান। পরের পর্যায়ে
জামশেদপুর এফসি‑তে তিনি ২০২৪–২৫ মর্সুমে সেমিফাইনাল ও সুপার কাপ ফাইনাল পর্যন্ত
দল নিয়ে যান।
প্রত্যাশা
ও পরিকল্পনা
এআইএফএফ‑র
টেকনিক্যাল ও কার্যনির্বাহী কমিটি তাঁকে নির্বাচনের পেছনে প্রাধান্য দেয়। ৪৮ বছর বয়সী
জামিল এএফসি প্রো-লাইসেন্স ধারক এবং সাধারণত ৪-২-৩-১ ফরমেশন পছন্দ করেন।
কৌশলগত
এজেন্ডা
তিনি
এখন ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১৩৩তম অবস্থানে থাকা একটি দলে দায়িত্ব নিচ্ছেন। এই অবস্থানটিতে
দল অস্থিতিশীল আক্রমণ, কোচিং পরিবর্তন এবং গোল না করার সংকটের সম্মুখীন। তাঁর মূল তিনটি
লক্ষ্য হল:
- ভারতের
গোলসংখ্যা পুনরুদ্ধার করা:
আগের কোচের অধীনে মাত্র আট ম্যাচে পাঁচটি গোল এবং প্রথম তিন ম্যাচে গোলশূন্য।
- পরিচিত
কৌশলগত পরিচয়ের প্রতিষ্ঠা:
আইএসএল-র কৌশল প্রয়োগ করে রূপান্তর এবং সেট-পিস দক্ষতা।
- স্থানীয়
খেলোয়াড় বিকাশ ও জাতীয় পারফরম্যান্সের সংযুক্তি: জাতীয় পারফরম্যান্সের সাথে স্থানীয়
খেলোয়াড়ের বিকাশ।
যেহেতু
তিনি ভারতীয় ফুটবলের উপর্জিত নেতৃত্ব তাঁকে শক্তিশালী প্রতিপন্ন করে, এই সংকটময় মোড়ে
তিনি এই দলকে নতুন সম্ভাবনার পথে পরিচালিত করার চেষ্টা করছেন।
খেলোয়াড়রা: অতীতের স্তম্ভ এবং ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি
সুনীল
ছেত্রী - এক জীবন্ত কিংবদন্তি
ভারতীয় ফুটবলের প্রাণপুরুষ সুনীল ছেত্রী ২০২৪ সালের জুনে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর
নিয়েছিলেন, তবে ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে স্ট্রাইকার সংকটের মুখে ফের দলে ফিরে আসেন।
তার পরিসংখ্যান অভূতপূর্ব:
- ১৫৫
ম্যাচে ৯৫ আন্তর্জাতিক গোল।
- সর্বকালের
আন্তর্জাতিক গোলদাতাদের মধ্যে তৃতীয়, শুধুমাত্র ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো (১৩৮)
এবং লিওনেল মেসির (১১২) পরে।
- ভারতের
সর্বাধিক ম্যাচ খেলা এবং সর্বোচ্চ গোলদাতা।
সন্দেশ
ঝিঙ্গান - রক্ষণের প্রাচীর
বর্তমান অধিনায়ক সন্দেশ ঝিঙ্গান ২০১৫ সালে অভিষেকের পর থেকে ভারতের রক্ষণের মেরুদণ্ড।
৬৫টির বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে দলে অবিচল অবদান রেখেছেন।
উদীয়মান
তারকারা:
- জিকসন
সিং (ইস্টবেঙ্গল):
ভারতের মিডফিল্ডের নতুন স্তম্ভ।
- বিক্রম
প্রতাপ সিং (মুম্বই সিটি এফসি):
গতিময় এবং চমকপ্রদ পারফরমার।
- রহিম
আলি (চেন্নাইয়িন এফসি):
শক্তপোক্ত স্ট্রাইকার, ৫টি আন্তর্জাতিক গোল করেছেন।
- পার্থিব
গোগৈ (নর্থইস্ট ইউনাইটেড):
টেকনিক্যালি পারদর্শী, ভবিষ্যতের প্লেমেকার।
কোচিং পরিবর্তন: কৌশলগত রদবদল
কোচ |
মেয়াদকাল |
খেলার
ধরণ |
গুরুত্বপূর্ণ
অর্জন |
স্টিফেন
কনস্টান্টাইন |
২০১৫–২০১৯ |
কাউন্টার
অ্যাটাকিং |
২০১৯ এএফসি
এশিয়ান কাপ কোয়ালিফিকেশন |
ইগর স্টিমাচ |
২০১৯–২০২৪ |
পজেশন-ভিত্তিক |
২০২১ সাফ
চ্যাম্পিয়নশিপ জয় |
মানোলো মার্কেজ |
২০২৩–২০২৫ |
হাই প্রেসিং
সিস্টেম |
ট্রাই-নেশন
সিরিজ, ২০২৪ |
খালিদ জামিল |
২০২৫–বর্তমান |
কমপ্যাক্ট
ও নমনীয় |
অভিষেক ম্যাচ
এখনো হয়নি |
ফিফা র্যাঙ্কিং: এক দশকের উত্থান-পতন
বছর |
ফিফা
র্যাঙ্ক |
২০১৫ |
১৬৬ |
২০১৭ |
৯৬ (সর্বোচ্চ) |
২০১৯ |
১০১ |
২০২২ |
১০৬ |
২০২৪ |
১১৭ |
২০২৫ |
১৩৩ |
বর্তমান
র্যাঙ্কিং (আগস্ট ২০২৫ অনুযায়ী) এশিয়ার ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতা এবং ঘনঘন কোচিং
পরিবর্তনের প্রতিফলন।
পরিকাঠামো: অনিশ্চয়তার মাঝে ভিত্তি গড়ে তোলা
সুপার
লিগ সংকট: স্থগিত আইএসএল ২০২৫-২৬ মর্সুম
২০২৫
সালের মাঝামাঝি ভারতীয় ফুটবল বড় ধাক্কা খায়, যখন আইএসএল (ভারতের শীর্ষস্থানীয় ঘরোয়া
প্রতিযোগিতা) অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করা হয়। এআইএফএফ ও বাণিজ্যিক অংশীদার
এফএসডিএল-এর মধ্যে মাস্টার রাইটস এগ্রিমেন্ট (এমআরএ) নবায়ন সংক্রান্ত জটিলতার কারণে
এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সুপ্রিম
কোর্টের ২৬ এপ্রিল ২০২৫-এর আদেশ অনুসারে, চূড়ান্ত রায় না আসা পর্যন্ত এআইএফএফ নতুন
চুক্তি করতে আইনি বাধায় পড়ে। ফলত, এফএসডিএল ক্লাবগুলিকে জানিয়ে দেয় যে, আইনি নিশ্চয়তা
ছাড়া তারা ২০২৫-২৬ মর্সুম পরিচালনা করতে অক্ষম।
এর
ফলে:
- আটটি
আইএসএল ক্লাব এআইএফএফ-এর কাছে অবিলম্বে স্বচ্ছতা দাবি করে।
- ওডিশা
এফসি ৫ আগস্ট ২০২৫ থেকে খেলোয়াড় ও স্টাফদের চুক্তি স্থগিত করে।
- প্রস্তাবিত
সমাধানের জন্য গতকাল, ৭ আগস্ট ২০২৫ দিল্লিতে এআইএফএফ ও ক্লাব প্রতিনিধিদের বৈঠক
হয়েছে।
প্রশিক্ষণ
ও প্রতিভা উন্নয়ন কেন্দ্র
আইএসএল
সংকট সত্ত্বেও ভারতের প্রযুক্তিগত পরিকাঠামো সম্প্রসারিত হয়েছে:
- এআইএফএফ
জাতীয় উৎকর্ষ কেন্দ্র, কলকাতা (রাজারহাট, নিউটাউন):
- ফিফা
ও এএএফসি’র সহায়তায় ২০১৮ সালে নির্মাণ শুরু।
- প্রথম
ধাপে:
- ক্লাসরুম
ও ড্রেসিং রুমসহ টেকনিক্যাল সেন্টার।
- ফ্লাডলাইট
সহ কৃত্রিম ও প্রাকৃতিক ঘাসের মাঠ।
- ভারতের
প্রথম ছাদঘেরা পিচ।
- ভবিষ্যৎ
ধাপে স্টেডিয়াম, কোচিং, মেডিকেল ও স্পোর্টস-সায়েন্স কেন্দ্র।
- আধুনিক
স্টেডিয়ামসমূহ:
- ইকেএ
অ্যারিনা (আহমেদাবাদ, ২০,০০০ আসনক্ষমতা)
- গ্রীনফিল্ড
ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়াম (তিরুবনন্তপুরম, ৫০,০০০ আসন, পরিবেশবান্ধব, অলিম্পিক
মানের সুবিধা)
- প্রচলিত
আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম:
- জওহরলাল
নেহেরু স্টেডিয়াম (কোচি)
- ফতোরদা
স্টেডিয়াম (মারগাঁও)
গ্রাসরুটস
ও নারী ফুটবল উন্নয়ন
২০২৫
সালে ফিফা, এআইএফএফ ও তেলেঙ্গানা সরকার হায়দরাবাদে প্রথম ফিফা প্রতিভা একাডেমি চালু
করে। এটি 16 বছরের কম বয়সী মেয়েদের জন্য উন্নত প্রশিক্ষণ, আবাসিক সুবিধা, চিকিৎসা
ও শিক্ষা সহায়তা প্রদান করে।
অন্য উদ্যোগ:
- ওডিশা
এফসি ও রাজস্থান ইউনাইটেডের
আবাসিক ফুটবল একাডেমিগুলোর সম্প্রসারণ, বিশেষত রাজস্থানে ২০২৫ সালের জুলাইয়ে
পূর্ণাঙ্গ আবাসিক একাডেমি চালু হয়।
দৃষ্টিভঙ্গি
ভারতে
ফুটবল পরিকাঠামো দিনে দিনে উন্নত হচ্ছে, তবে প্রশাসনিক জটিলতা উন্নয়নের গতি রুদ্ধ
করছে। আইএসএল সংকটে আমাদের কাঠামোগত দুর্বলতা প্রকাশ করেছে। এআইএফএফ-এর ভিশন ২০৪৭-এর
ভবিষ্যৎ কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ভবিষ্যতের জন্য আর্থিক স্বচ্ছতা ও উচ্চমানের
প্রতিযোগিতার প্রতি সমান গুরুত্ব অপরিহার্য।
ভিশন ২০৪৭: দীর্ঘমেয়াদি রোডম্যাপ
২০২৩
সালের জানুয়ারিতে এআইএফএফ "ভিশন ২০৪৭" চালু করে, যার লক্ষ্য ভারতের স্বাধীনতার
শতবর্ষে দেশকে এশিয়ার শীর্ষ ১০ ফুটবল জাতির মধ্যে স্থান দেওয়া।
মূল
স্তম্ভসমূহ:
- ২০৩০
সালের মধ্যে ৫০,০০০ নিবন্ধিত কোচ।
- ৩.৫
কোটি স্কুল শিক্ষার্থীর সাথে সংযোগ।
- ন্যূনতম
৩,০০০ পেশাদার ফুটবলার।
- নারী
ফুটবল, ফুটসাল ও প্যারা-ফুটবলের প্রসার।
সম্মান ও পারফরম্যান্স (২০১৫–২০২৫)
টুর্নামেন্ট |
সেরা
ফলাফল |
এএফসি এশিয়ান
কাপ |
গ্রুপ পর্ব
(২০১৯, ২০২৩) |
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ |
বিজয়ী
(২০১৫, ২০২১) |
ইন্টারকন্টিনেন্টাল
কাপ |
বিজয়ী
(২০১৮, ২০২৩) |
হিরো ট্রাই-নেশন
সিরিজ |
বিজয়ী
(২০২৪) |
কিংস কাপ |
রানার্স-আপ
(২০১৯) |
এশিয়ান
স্তরে উল্লেখযোগ্য সাফল্য না এলেও দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিযোগিতায় ভারতের আধিপত্য অক্ষুণ্ণ।
পরিসংখ্যান পর্যালোচনা
সর্বাধিক
আন্তর্জাতিক গোলদাতা:
১. সুনীল ছেত্রী - ৯৫ গোল
২. ভাইচুং ভুটিয়া - ৪২ গোল
৩. আইএম বিজয়ন - ৩৯ গোল
সর্বাধিক
ম্যাচ খেলা খেলোয়াড়:
১. সুনীল ছেত্রী - ১৫৫ ম্যাচ
২. ভাইচুং ভুটিয়া - ১০৭ ম্যাচ
৩. আইএম বিজয়ন - ৮৮ ম্যাচ
২০২৫
সালের ম্যাচ সারাংশ (এখন পর্যন্ত):
- ভারত
৩-০ মালদ্বীপ (মার্চ)
- ভারত
০-০ বাংলাদেশ (মার্চ)
- ভারত
০-২ থাইল্যান্ড (জুন)
- ভারত
০-১ হংকং (জুন)
আসন্ন
ম্যাচসমূহ (২০২৫):
- ভারত
বনাম সিঙ্গাপুর (অক্টোবর)
- সিঙ্গাপুর
বনাম ভারত (অক্টোবর)
- বাংলাদেশ
বনাম ভারত (নভেম্বর)
ভবিষ্যতের অগ্রগতি: সমস্যা ও সম্ভাবনা
মূল
চ্যালেঞ্জসমূহ:
- ছেত্রীর
পরবর্তী যুগে গোলের ঘাটতি।
- ঘন ঘন
কোচ বদলে কৌশলগত অস্থিরতা।
- পারফরম্যান্স
পতনের কারণে ফিফা র্যাঙ্কিং পতন।
আশার
আলো:
·
নর্থইস্ট ও কেরালায়
ফুটবলের জনপ্রিয়তা বাড়ছে।
- আইএসএল/আই-লিগ
যুব উন্নয়নে সহযোগিতা।
- এআইএফএফ-এর
রোডম্যাপে কাঠামোগত দিশা স্পষ্ট।
২০৪৭-এর পথে: পরিবর্তনের দশকে ভারতীয় ফুটবলের
নতুন যাত্রা
২০১৫-২০২৫
সময়কালে ভারতীয় ফুটবল এক অনিশ্চিত রূপান্তরের মধ্য দিয়ে গিয়েছে। ছেত্রীর মতো কিংবদন্তির
পর এখন সময় নতুন প্রজন্মকে সামনের সারিতে আনার।
তবে এই রূপান্তর কেবলই সম্ভব হবে কৌশলগত দূরদর্শিতা, গ্রাসরুট বিনিয়োগ এবং সমর্থকদের
আবেগকে ভিত্তি করে। যদি ভিশন ২০৪৭ বাস্তব হয়, তাহলে আগামী এক দশকেই ভারত বিশ্ব ফুটবলের
মানচিত্রে একটি শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাতে পারে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন