NT Bangla: এখনকার দিনে প্রায় প্রত্যেক মানুষই বেনিয়মে অভস্থ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু নিয়ম না মেনে চলা আর অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন ডায়াবেটিস বৃদ্ধি করে। অস্বাস্থ্যকর খাবার দাবার, পর্যাপ্ত পরিশ্রমের অভাব শরীরে জাঁকিয়ে বসে সুগারের মাত্রা। তাই ডায়বেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে খাওয়া দাওয়া করতে হবে নিয়ম মেনে। কারও ডায়বেটিস হলে খাদ্যতালিকায় বদল আনতে হবে। শরীর সুস্থ থাকতে নিয়ম মেনে চলা উচিৎ। কারও সুগার ধরা পড়লে খাবার-দাবারের দিকে নজর দিতে হবে সবার আগে।
চিকিৎসকরা জানান, পরিমিত ভাত-রুটি খেতে হবে। আলু খাওয়াতেও রাশ টানতে হবে। পাশাপাশি একাধিক নিয়ম মেনে চলতে হয় রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে। ডায়বেটিসের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে নিয়ম মেনে চলা। সুগারকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে শাকসব্জির ওপরে বেশি নজর দিতে হয়। শাকসব্জি, দানাশস্য খেলেই ইনসুলিন উন্নত হয়। ৫টি খাবার খাদ্যতালিকায় রাখলে ডায়াবিটিসের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে ভাবতে হয় না।
বছরভর সজনে পাতা ও ডাঁটা খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এরমধ্যে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ক্যালশিয়াম, আয়রনের মতো উপাদান থাকে। সজনে পাতা না পেলে মোরিঙ্গা পাউডার খাওয়া যেতে পারে। এই উপাদান রক্তে শর্করার মাত্রা বশে রাখতে সহায়ক। সকালে মোরিঙ্গার চা খেতে পারেন কিংবা সজনে পাতা ও ডাঁটার তরকারি বানিয়ে খেতে পারেন।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চিয়া সিডের গুরুত্ব রয়েছে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, প্রোটিন ও ফাইবার রয়েছে। চিয়া সিড হজমের গণ্ডগোল দূর করতে সাহায্য করে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে। ডায়াবিটিসের রোগীদের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে চিয়া সিড। রোজ সকালে চিয়া সিড ভেজানো জল খেতে পারেন।
ব্লূবেড়ী রক্তে গ্লুকোজ়ের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এর মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিনে ভরপুর ব্লুবেরি। পাশাপাশি ব্লুবেরির বদলে আমলকী, জামের মতো বেরিজাতীয় ফল খেতে পারেন। শরীর সুস্থ রাখতে একাধিক রোগ দূরে রাখতে এটি অনেক সাহায্য করে।
দারচিনি ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে দুর্দান্ত সাহায্য করে। এর মধ্যে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান। যে রোগীরা বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত, তাঁদের সুরক্ষিত করে দারচিনি। মিষ্টি স্বাদও আসে কিছুটা।
ছোলারডালও ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণ করে। স্বাস্থ্যের জন্যে এই ডাল প্রয়োজনীয়। ছওলার ডাল খেতেও উপাদেয়। পেটও ভরে বেশ খানিকটা। এই ডালে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স রয়েছে। এই ডালে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। প্রোটিন পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে এটি সাহায্য করে। ছোলার ডালে রয়েছে ফলিক অ্যাসিড। কারও রক্তাল্পতার সমস্যা থাকলে তা দূর করতে সাহায্য করে ছোলার ডাল।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন