টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলায় একই স্থানে ‘মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ’ ও ‘ছাত্র সমাবেশকে’ ঘিরে উত্তেজনা দেখা দেওয়ায় প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে। রোববার ভোর ৬টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত এ আদেশ কার্যকর থাকবে।
উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাঁচশ গজ এলাকায় যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে, পাশাপাশি সেনাবাহিনীও টহল দিচ্ছে।
বাসাইল থানার ওসি জালাল উদ্দিন বলেন, “একই জায়গায় দুটি সমাবেশ ডাকা হয়েছিল। এজন্য প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছি।”
এর আগে শনিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আকলিমা বেগম এ আদেশ জারি করেন।
জানা যায়, মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশের জন্য যুদ্ধকালীন কোম্পানি কমান্ডার কাজী আশরাফ হুমায়ুন বাঙ্গাল গত ১ সেপ্টেম্বর আবেদন করেন। এ সমাবেশে অতিথি হিসেবে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
অন্যদিকে, ছাত্রসমাজের ব্যানারে একই স্থানে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে ৫ সেপ্টেম্বর আবেদন করেন রনি মিয়া নামের এক ব্যক্তি। তবে আবেদনে তাঁর পূর্ণ ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর উল্লেখ করা হয়নি।
মুক্তিযোদ্ধা নেতা কাজী আশরাফ অভিযোগ করেন, “আমাদের অনুষ্ঠান বানচালের জন্য তারা একই সময়ে সমাবেশ ডাক দিয়েছে। অথচ তাদের অন্য কোনো দিন করতে পারত।”
অন্যদিকে, রনি মিয়া বলেন, “আমাদের সমাবেশ শান্তিপূর্ণ হবে। যেকোনো বাধা আসুক, আমরা সমাবেশ করব।”
ইউএনও আকলিমা বেগম বলেন, “একই তারিখ ও সময়ে দুই পক্ষের সমাবেশ হলে রক্তপাতসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। এজন্য জননিরাপত্তার স্বার্থে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।”
বর্তমানে পুরো এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন