Top News

ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’-র প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা, সতর্ক প্রশাসন

 ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’-র প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা, সতর্ক প্রশাসন

আরব সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’ ধীরে ধীরে উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বাংলাদেশের উপকূলের দিকে এগোচ্ছে। যদিও ভারতীয় আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে যে, এই ঘূর্ণিঝড় সরাসরি পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে আঘাত হানবে না, তবুও এর প্রভাবে রাজ্যের দক্ষিণাঞ্চলে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আগামী ২৮ থেকে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া ও কলকাতা জেলায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে সমুদ্র বেশ উত্তাল থাকবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, ফলে মৎস্যজীবীদের আগামী তিন দিন সমুদ্রে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ঝোড়ো হাওয়া ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে, যা নিম্নাঞ্চলে জল জমার পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। রাজ্য প্রশাসন ইতিমধ্যেই সমস্ত জেলা প্রশাসনকে সতর্ক করেছে এবং প্রয়োজনে নদীবাঁধ মেরামত, জলনিকাশ ব্যবস্থা ঠিক রাখা ও আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (NDRF) কে প্রস্তুত রাখা হয়েছে যাতে জরুরি অবস্থায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়।

কলকাতায়ও আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকবে এবং মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া দফতরের তরফে নাগরিকদের অপ্রয়োজনীয় বাইরে না বেরোনোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’-র এই প্রভাবের কারণে স্বল্প সময়ের জন্য বিমান ও ট্রেন পরিষেবায়ও ব্যাঘাত ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। সার্বিকভাবে বলা যায়, যদিও ঘূর্ণিঝড়টি সরাসরি পশ্চিমবঙ্গে আঘাত করবে না, তবুও তার প্রভাবে আগামী কয়েক দিন দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া অস্থির ও বৃষ্টিপ্রবণ থাকবে, যা জনজীবনে কিছুটা প্রভাব ফেলতে পারে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন