খবর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই আইনজীবীর নাম রাকেশ কিশোর। ওই ব্যক্তি অপ্রত্যাশিতভাবে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের দিকে এগিয়ে এসে জুতো ছোড়ার চেষ্টা করেন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে দ্রুত আটক করা হয়।
যদিও বিচারপতিকে লক্ষ্য করে ছুড়ে দেওয়া জুতো তার বেঞ্চ পর্যন্ত পৌঁছায়নি। এই ঘটনায় ওই ঘটনাস্থলে উপস্থিত সকলে অবাক হলেও প্রধান বিচারপতি বিচলিত না হয়ে আদালতের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে নির্দেশ দেন।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে যে, আইনজীবী রাকেশ কিশোর সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ছিলেন এবং তাঁর কাছে আদালতে প্রবেশের জন্য কার্ড ছিল। এছাড়াও তিনি ৭১ বছর বয়সী বলে জানা গিয়েছে। রাকেশ কিশোর দাবি করেন যে, প্রধান বিচারপতি সম্প্রতি একটি মন্তব্যে সনাতন ধর্ম অনুসারীদের প্রতি অসম্মান প্রকাশ করেছেন, এবং এটিই ছিল রাকেশ কিশোরের চরম প্রতিক্রিয়ার কারণ।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া (BCI) আইনজীবী রাকেশ কিশোরকে সাসপেন্ড করে। এক বিবৃতিতে BCI বলে, এরকম আচরণ “আদালতের মর্যাদা ও আইনজীবীর পেশাগত শালীনতার নীতির বিরোধী।”
আইনি মহলে এই ঘটনাকে আদালতের অবমাননা হিসেবে দেখা হচ্ছে এবং ওই আইনজীবীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠেছে।
এই ঘটনাকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি “অগ্রহণযোগ্য” বলে নিন্দা করেন এবং প্রধান বিচারপতির শান্ত এবং স্থিতিশীল মনোভাবের প্রশংসা করেন। বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও এই ঘটনার সমালোচনা করেছেন।
একাধিক আইনজীবী সংগঠন মনে করছে যে এই ধরনের ঘটনা শুধু একজন বিচারকের প্রতি আক্রমণ নয় বরং পুরো বিচারবিভাগ ও সংবিধানের প্রতি অসম্মান। তারা দাবি করেছে যে বিচারিক নিরাপত্তা ও শালীনতা রক্ষার জন্য দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বিচারবিভাগের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা ও আদালতের নিরাপত্তার বিষয় প্রশ্ন উঠেছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন