ভারতের বিচারব্যবস্থায় যেন খুলে গেল এক নতুন পর্বের দরজা। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর উপস্থিতিতে আজ শপথ নিয়ে বিচারপতি সূর্য কান্ত দায়িত্ব নিলেন দেশের ৫৩তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে।
সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহ্যবাহী প্রাঙ্গণে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী থেকে শুরু করে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা।
রবিবার অবসর নেন বিচারপতি ভূষণ আর গাভাই। সংবিধানের ১২৪(২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, সিনিয়রিটি মেনে বিদায়ী সিজেআই গাভাইই বিচারপতি সূর্য কান্তের নাম সুপারিশ করেন পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হিসেবে। সেই অনুযায়ী সোমবার, ২৪ নভেম্বর থেকে দেশের শীর্ষ বিচারপতির দায়িত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর হাতেই আসে। আগামী প্রায় ১৪ মাস সুপ্রিম কোর্টের নেতৃত্বে থাকবেন তিনি।
দায়িত্ব নেওয়ার পরই তিনি নতুন সিজেআই স্পষ্ট জানিয়ে দেন, দেশের আদালতগুলিতে বছর বছর ধরে জমে থাকা বিশাল মুলতুবি মামলার পাহাড়ই তাঁর প্রধান উদ্বেগ। এই জট ভাঙতে তিনি আরও কার্যকর ব্যবস্থাপনা, দ্রুত নিষ্পত্তি এবং মেডিয়েশন ও কমিউনিটি মিডিয়েশন ব্যবস্থার প্রসারকে অগ্রাধিকার দেবেন। তাঁর মতে, বিচারব্যবস্থাকে সাধারণ মানুষের নাগালের আরও কাছে আনতে হবে।
ষপ্রযুক্তি ব্যবহারে তিনি আশাবাদী হলেও, গুরুত্বপূর্ণ একটি বার্তা দিয়েছেন—এআই যতই উন্নত হোক, মানবিক বিচারবোধই ন্যায়বিচারের আসল ভিত্তি। তাই প্রযুক্তির সঙ্গে মানুষের অনুভব ও বিবেচনাকেই একসঙ্গে রেখে এগোতে চান তিনি। নতুন প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব গ্রহণে আইনজগত, আদালতকর্মী এবং রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক উচ্ছ্বাস দেখা গেছে। অনেকেরই আশা, তাঁর নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্ট আরও আধুনিক, দক্ষ, স্বচ্ছ এবং নাগরিকমুখী পথের দিকে এগোবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন