Top News

প্রাথমিক নিয়োগে তুঙ্গে বিতর্ক: হাই কোর্টে মামলা, পদ বাড়ানোর দাবিতে সরব TET উত্তীর্ণরা

রাজ্যে নতুন করে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরেই শুরু হয়েছে আইনি টানাপোড়েন। প্রায় ১৩,৪২১টি শূন্যপদে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ঘোষণা দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা দফতর। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১৪৭১টি, হুগলিতে ১২১২টি, বাঁকুড়ায় ৯৭৮টি এবং কলকাতায় ৯৪৭টি শূন্যপদ রয়েছে।কিন্তু বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সেই নোটিসকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেন এক প্রার্থী। তাঁর অভিযোগ, শূন্যপদের সংখ্যা নির্ধারণে পর্যাপ্ত তথ্য ও সঠিক যুক্তি দেখানো হয়নি, যা নিয়োগ প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছতার প্রশ্নে দাঁড় করাচ্ছে। 

মামলাকারীর দাবি, রাজ্যের বিভিন্ন প্রাথমিক ও জুনিয়র বেসিক বিদ্যালয়ে প্রকৃত শূন্যপদের সংখ্যা সরকার যে সংখ্যা প্রকাশ করেছে তার চেয়ে বেশি। অথচ সরকার সেই জায়গায় সীমিত শূন্যপদ দেখিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ফলে বহু যোগ্য প্রার্থী সুযোগ থেকে বঞ্চিত হতে পারেন। তাদের যুক্তি হচ্ছে, দীর্ঘ ৮ বছর পর প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু হলেও, এত কম ভ্যাকেন্সি দিয়ে সামগ্রিক চাহিদা মেটানো সম্ভব নয়। বিশেষত যাঁরা ২০২২ বা ২০২৩-এর TET পাশ করেছেন, তাঁদের জন্য এই নিয়োগই বড় সুযোগ; কিন্তু অনেকেই বলছেন, প্রকাশিত পদসংখ্যা তাঁদের দক্ষতা ও সক্ষমতা প্রতিফলিত করছে না। একই সঙ্গে তিনি আরও অভিযোগ করেন, শূন্যপদ নির্ধারণে সঠিক রিপোর্ট তৈরি হয়নি এবং জেলা ভিত্তিক শূন্যপদের বিভাজন নিয়েও স্পষ্ট কোনও বার্তা নেই। এই সবকিছুই নিয়োগ প্রক্রিয়ার ন্যায়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বলে তাঁর বক্তব্য।

এদিকে, মামলাটি দ্রুতই বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। আদালতে শুনানির তারিখ নির্ধারিত হলে বিষয়টি স্পষ্ট হবে বলে মনে করছেন আইনজীবী মহল। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিকে ঘিরে এমন বিতর্ক তৈরি হওয়ায় রাজ্য জুড়ে চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে ইতিমধ্যেই আশঙ্কা বাড়ছে। অনেকেই ভেবেছিলেন দীর্ঘ অপেক্ষার পর এবার হয়তো নিয়োগপ্রক্রিয়া গতি পাবে, কিন্তু নতুন মামলায় সেই পথ আরও কঠিন হয়ে উঠল।

চাকরিপ্রার্থীদের একটি বড় অংশের মত— আদালতের নির্দেশ না আসা পর্যন্ত নিয়োগের ভবিষ্যৎ কার্যত অনিশ্চিত। ফলে আসন্ন শুনানির দিকেই এখন নজর রাজ্য জুড়ে অসংখ্য প্রার্থীর।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন