তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ও বিধায়ক হুমায়ুন কবীর ফের একবার জোর দিয়ে বলেছেন যে দল থেকে ইস্তফা দিতে হলেও তিনি বাবরি মসজিদ নির্মাণ করবেন। শনিবার তিনি জানান, মসজিদ তৈরির জন্য রাজ্যের পরিবর্তে শুধুমাত্র মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য নেওয়া হবে।
কবীর দাবি করেছেন, বাংলার জনসংখ্যার পরিবর্তন তাঁর এই উদ্যোগের সহায়ক।
২০১১ সালের পর থেকে রাজ্যে মুসলিম জনসংখ্যার অনুপাত উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আগামী বছরগুলিতে তা আরও বাড়বে।
তিনি মসজিদটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের জন্য ৬ ডিসেম্বর তারিখ নির্ধারণ করেছেন। রাজনৈতিক পরিণতির তোয়াক্কা না করে মসজিদ নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাওয়ার উপর জোর দিয়ে কবীর ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে তার অবশিষ্ট সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্যও তিনি প্রস্তুত।
স্বয়ং তাঁর দলের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে আঙুল তুলে কবীর অভিযোগ করেন যে রাজ্য সরকার ধর্মনিরপেক্ষতাকে বেছে বেছে ব্যবহার করে। তিনি রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে মন্দির সংক্রান্ত কার্যকলাপকে উৎসাহিত করা এবং একই সঙ্গে মসজিদ নির্মাণকে হুমকি হিসেবে গণ্য করার অভিযোগ এনেছেন। কবীর এই নীতিগুলিকে বৈষম্যমূলক এবং রাজনীতি-প্রভাবিত বলে দাবি করেন।
বৃহত্তর প্রকল্প তৈরির প্রস্তাব
মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়ে কবীর জানান, প্রাথমিকভাবে জমির একটি ছোট অংশে ভিত্তি স্থাপন করা হবে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ২৫ বিঘার একটি বৃহত্তর স্থান চিহ্নিত করা হবে, যেখানে একটি বহুবিধ ব্যবহারযোগ্য কমপ্লেক্স তৈরির প্রস্তাব রয়েছে।
এই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় শুধু একটি মসজিদ নয়, বরং সম্প্রদায়ের সেবার জন্য একটি হাসপাতাল, একটি বিশ্ববিদ্যালয়, একটি হোটেল ও রেস্তোরাঁর সুবিধাও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
তিনি তার রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার কথাও ঘোষণা করেছেন। ডিসেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে কবীর একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করে বাংলায় কমপক্ষে ১০০টি আসনে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর দল নিজেদের ধর্মনিরপেক্ষ হিসেবে তুলে ধরবে এবং বাংলার মুসলমানদের কাছ থেকে দৃঢ় সমর্থন আশা করবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন