তৃণমূল থেকে সদ্য সাসপেন্ড হওয়া ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় পূর্ব ঘোষিত বাবরি মসজিদের শিলান্যাস শনিবার (আজ) করতে চলেছেন। ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের অদূরে মরাদিঘি মোড়ের কাছে প্রায় ২৫ বিঘা জমিতে এই বিশাল আয়োজন ঘিরে চলছে চূড়ান্ত প্রস্তুতি। আয়োজকদের দাবি, প্রায় ৩ লক্ষ মানুষের সমাগম হতে পারে এই অনুষ্ঠানে।
মুর্শিদাবাদের এই আয়োজনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ইসলাম ধর্মগুরুরা আসছেন। এমনকি সৌদি আরব থেকে দু’জন ‘কারী’ (ইসলামিক ধর্মগুরু) বিশেষ কনভয়ে অনুষ্ঠান মঞ্চে পৌঁছোবেন। শুক্রবার থেকেই প্রায় ২০০০ স্বেচ্ছাসেবক অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য কাজ শুরু করে দিয়েছেন। মঞ্চ, খাওয়াদাওয়া এবং অন্যান্য ব্যবস্থা মিলিয়ে এই আয়োজনে ৬০ থেকে ৭০ লক্ষ টাকা খরচ হচ্ছে বলে দাবি আয়োজকদের।
বিশাল মঞ্চ ও ভোজের আয়োজন
মসজিদের শিলান্যাস উপলক্ষে প্রায় ১৫০ ফুট লম্বা এবং ৮০ ফুট চওড়া একটি বিশাল মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে, যেখানে ৪০০ জন অতিথি বসতে পারবেন। শুধু মঞ্চ তৈরিতেই প্রায় ১০ লক্ষ টাকা খরচ হচ্ছে। অতিথিদের ভোজের জন্য থাকছে বিশেষ শাহি বিরিয়ানি। মুর্শিদাবাদের সাতটি কেটারিং সংস্থাকে ৪০ হাজার প্যাকেট শাহি বিরিয়ানি তৈরির বরাত দেওয়া হয়েছে। এছাড়া স্থানীয় আরও ২০ হাজার মানুষের জন্য বিরিয়ানি প্রস্তুত করা হচ্ছে। খাদ্য বাবদ খরচ প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা।
পুলিশি নিরাপত্তা ও ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ
অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। প্রায় ৩ হাজার পুলিশকর্মী নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন। জাতীয় সড়ক স্তব্ধ হওয়ার আশঙ্কা থাকায়, প্রধানত ১২ নম্বর জাতীয় সড়কে ট্রাফিক সচল রেখে অনুষ্ঠান শেষ করাই প্রশাসনের লক্ষ্য। সদর দফতর থেকে অতিরিক্ত বাহিনী এনে বেলডাঙা এবং রেজিনগর-এই দুই থানা এলাকার পুলিশ বিশেষ নজরদারি চালাচ্ছে।
শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিশেষ অতিথিদের আগমন শুরু হবে। সকাল ১০টায় কোরান তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা এবং বেলা ১২টায় মূল শিলান্যাসের অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন