০ নভেম্বর : পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলীর পর এবার নদীয়া জেলার নবদ্বীপে উদ্ধার হল প্রচুর ভুয়ো ভোটারকার্ড । সোমবার সন্ধ্যায় নবদ্বীপ পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মাধাইপুর রোডের একটা স্কুলের উলটো দিকে নিকাশি নালার পাশে শতাধিক ভোটার কার্ড পড়ে থাকতে দেখে নবদ্বীপ থানায় খবর দেয় স্থানীয় বাসিন্দারা।
ঘটনায় তৃণমূল বিজেপির মধ্যে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে । বিজেপির অভিযোগ,এসআইআর আতঙ্কে এই কাজ করেছে তৃণমূল । অন্যদিকে তৃণমূলের দাবি,এটা বিজেপির কারসাজি ।
জানা গেছে,সোমবার সন্ধ্যায় অমর দেবনাথ নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বাথরুম করার জন্য প্রতাপনগর হাসপাতাল রোড এলাকায় শিশুদের একটি স্কুলের উলটো দিকে নির্জন জায়গায় নিকাশি নালায় গিয়েছিলেন । সেই সময় তিনি টর্চের আলো জ্বাললে নালার আশেপাশে প্রচুর ভোটারকার্ড পড়ে থাকতে দেখেন। এই দেখে তিনি লোকজন ডাকাডাকি করেন । পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে নবদ্বীপ থানার পুলিশ । পুলিশ ওই কার্ডগুলি উদ্ধার করে নিয়ে যায় ।
অমর দেবনাথ বলেন,'ওই ভোটারকার্ডগুলি সবই ভুয়ো বলে মনে হচ্ছে। কারন সেগুলির ৯০ শতাংশের অধিক আমাদের স্থানীয় বাসিন্দা । তাদের ফোন করে জানা যায় যে ইতিমধ্যেই বাড়িতে তাদের আসল ভোটারকার্ড রয়েছে ।' তিনি সন্দেহ প্রকাশ করে বলেছেন,'এসব শাসকদলেরই কাজ বলে মনে হচ্ছে ।' একই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বও । তবে এই ঘটনাকে বিজেপির কারসাজি বলেই মনে করছেন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর ঝন্টু লাল দাস । তার বক্তব্য,'এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনো সম্পর্ক নেই। এটা বিজেপির চক্রান্ত বলে মনে হচ্ছে ।' তিনি এই ঘটনার পূর্নাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন ।
এর আগে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলী উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের পিলা পঞ্চায়েতের শ্রীরামপুর গ্রামের পাশে "ললিতা বিল" নামে পরিচিত একটি বিরাট জলাশয়ের কচুরি পানার মধ্য থেকে উদ্ধার হয় বস্তা বস্তা ভুয়ো আধার কার্ড । ওই আধারকার্ড গুলি অধিকাংশই মুসলিম সম্প্রদায়ের নামে তৈরি করা হয়েছিল । তার মধ্যে আমির হোসেন শেখ, জাকির শেখ, ফতেমা বিবি, নাসিনা খাতুন,সুলতান শেখ ও তানিয়া মল্লিকের নাম পড়ে শোনান গ্রামবাসীরা । পূর্বস্থলীর থানার পুলিশ আধারকার্ডগুলি উদ্ধার করে নিয়ে যায় । তবে কে বা কারা আধারকার্ডগুলি বস্তায় ভরে ফেলে পালিয়েছিল তা এখনোও রহস্যই রয়ে গেছে।।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন