Top News

বিগ ব্রেকিং: অবশেষে প্রাথমিকে ৩২ হাজার নিয়োগ মামলার রায় ঘোষণা। কলকাতা হাইকোর্ট কী নির্দেশ দিল?


নিয়োগ দুর্নীতির কারণে এর আগে এসএসসির ২০১৬ এর পুরো প্যানেল বাতিল করে দিয়েছিল আদালত। এমনকি ২০১৪ সালের যারা প্রাথমিকে পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন, তাদের ক্ষেত্রেও যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল, তার মধ্যে ৩২ হাজারের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

পরবর্তীতে সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যায় পর্ষদ। দীর্ঘদিন ধরে শুনানি চলে। অবশেষে আজ সেই মামলার রায়দান হলো। সকলের মধ্যেই উৎকণ্ঠা ছিল যে, তাহলে কি এসএসসির ২০১৬ এর প্যানেলে যেভাবে সবার চাকরি বাতিল হয়ে গিয়েছিল, এক্ষেত্রেও ঠিক তেমনটাই হবে? কিন্তু না, যারা বর্তমানে চাকরি করছেন, তাদের পরিবারের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়তে পারে, এই দৃষ্টিকোণ দিয়ে এবং মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিকে সামনে রেখে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের যে ৩২ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ, তাকে খারিজ করে দিলো কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।

এই মুহূর্তের সব থেকে বড় খবর প্রাথমিকে যে, ৩২ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, আজ সেই ব্যাপারে ডিভিশন বেঞ্চের পক্ষ থেকে রায় দেওয়া হয়েছে। যেখানে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রত কুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চ এই রায়দান করেছে। আর সেখানেই যে ৩২ হাজার চাকরি প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন, সেই নির্দেশকে খারিজ করে দেন এই দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। যেখানে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রত কুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দুর্নীতির মামলার তদন্ত যেমন চলছে, চলবে। কিন্তু তার প্রভাব যেন যারা চাকরি করছে, তাদের ওপর না পড়ে। এক্ষেত্রে দীর্ঘ ৯ বছর ধরে যদি কেউ চাকরি করার পর তার চাকরি বাতিল হয়, তাহলে তার পরিবারের ওপর এর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। অর্থাৎ প্রাথমিকে ৩২ হাজার চাকরি বাতিলের যে নির্দেশ প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি দিয়েছিলেন, বর্তমানে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের পক্ষ থেকে সেই নির্দেশকে খারিজ করে দিয়ে এই ৩২ হাজার চাকরি বহাল রাখা হলো। যার ফলে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন এতদিন ধরে সংশয়ের মধ্যে থাকা এই ৩২ হাজার শিক্ষক শিক্ষিকারা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০১৪ সালের প্রাথমিকে পরীক্ষার পর যারা চাকরি পেয়েছিলেন, তাদের মধ্যে অনেকেই দুর্নীতির মাধ্যমে চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। এমনকি গোটা বিষয় নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়। আর তারপরেই ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল করে দেওয়ার মত নির্দেশ দেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি। আর সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে পর্ষদ ডিভিশন বেঞ্চে যায়। স্বাভাবিক ভাবেই আজ ডিভিশন বেঞ্চের রায়দান ছিল। সকলেই উদগ্রীব ছিলেন যে, কি হবে? তাহলে কি বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলীর যে নির্দেশ, তাকেই বহাল রাখা হবে? কিন্তু না, মানবিক দৃষ্টিকোণ দিয়ে গোটা বিষয়টি বিচার করে বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলী যে চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন, তাকেই খারিজ করে সেই ৩২ হাজার চাকরি বহাল রাখার নির্দেশ দিলো কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন