Top News

হাজারিবাগে মঙ্গলা শোভাযাত্রা মসজিদের পাশ দিয়ে যেতেই পাথরবাজি, দুই সম্প্রদায়ের সংঘর্ষ, লাঠিচার্জ ও শুন্যে গুলি চালালো পুলিশ

 


বুধবার (২৫ মার্চ) ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগে, রাম নবমীর আগে আয়োজিত মঙ্গলা শোভাযাত্রা জামা মসজিদের পাশ দিয়ে যেতেই পাথরবাজির পর দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে । মুসলিম সম্প্রদায় ডিজেতে গান বাজানোর প্রতিবাদে পাথরবাজি করে বলে অভিযোগ ।

প্রথমে উভয় পক্ষের মধ্যে এই বিষয়টি নিয়ে উত্তপ্ত বাকবিতন্ডা শুরু হয়।

কিছুক্ষণের মধ্যেই বিষয়টি হাতাহাতি এবং পাথর ছোঁড়াছুঁড়িতে পরিণত হয়। হিন্দু গোষ্ঠীগুলি দাবি করে যে তারা ইতিমধ্যেই আক্রমণের আশঙ্কা করছিল, কিন্তু প্রশাসনের তরফ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অন্যদিকে মুসলিম সম্প্রদায় ডিজেকে দোষারোপ করে তাদের আক্রমণকে ন্যায্যতা দিয়েছে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আগে পুলিশ তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে। লাঠিচার্জের পাশাপাশি, পুলিশ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে চার রাউন্ড শূন্যে গুলিও চালায়। ঘটনাটি ঘটেছে হাজারীবাগের ঝান্ডা চকে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। হাজারীবাগের ডেপুটি কমিশনার ন্যান্সি সহায় বলেছেন যে পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ এবং নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সাহাই বললেন,শোভাযাত্রা চলাকালীন, এক সম্প্রদায় কিছু গান বাজছিল, যার প্রতিবাদে অন্য সম্প্রদায়ের লোকেরা আপত্তি জানায়। এর পরে হাতাহাতি এবং পাথর ছোঁড়ার ঘটনা ঘটে। সেখানে মোতায়েন পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনায় বিষয়টি আর বাড়তে পারেনি।

এই ঘটনায় হেমন্ত সোরেনের নেতৃত্বাধীন সরকারকে নিশানা করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ সঞ্জয় শেঠ। তিনি বলেন, ঝাড়খণ্ডে হিংসার ঘটনা একটি সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, সরস্বতী পূজা, হোলি, শিবরাত্রি এবং রাম নবমীর সময় হিংসার ঘটনা ঘটেছে । শান্তি বিঘ্নিত করতে চাওয়া লোকগুলো কারা? দেশের বাকি রাজ্যগুলিতে কোথাও কোনও হিংসা নেই, ঝাড়খণ্ডে এটি ঘটে কারণ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা এখানকার জনসংখ্যা এবং আইনশৃঙ্খলার উপর প্রভাব ফেলছে।

এই ঘটনায় বিজেপিকে নিশানা করেছেন হেমন্ত সোরেন সরকারের মন্ত্রী সুদিব্য কুমার সোনু। তিনি বললেন,এই ঘটনার মূল কারণ কারও কাছে গোপন নয়। যেখানেই বিজেপি ক্ষমতায় নেই, সেখানেই এই ধরনের ঘটনা ঘটে। সরকার এটি বিবেচনা করবে।

উল্লেখ্য,দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য অনুসারে, হোলির পর প্রতি মঙ্গলবার রামনবমী পর্যন্ত হাজারীবাগে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়। এই বছর রাম নবমী ৬ই এপ্রিল। বুধবার বিভিন্ন আখড়া শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছিল। আর শোভাযাত্রাটি জামা মসজিদে পৌঁছানোর সাথে সাথেই পাথর ছোঁড়া শুরু হলে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন