ধর্ষণ নাকি গণধর্ষণ! কলকাতা হাইকোর্টের একের পর এক প্রশ্নের মুখে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। শুধু তাই নয়, এই সংক্রান্ত কেস ডায়েরিও জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন এদিন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের। একই সঙ্গে এই মামলায় রাজ্য সরকারের অবস্থান নিয়েও প্রশ্ন তোলে কলকাতা হাইকোর্ট।
এদিন যেভাবে আরজি কর মামলার শুনানি শুরু হল তাতে খুশি অভয়ার বাবা মা।শুধু তাই নয়, রাজ্য সরকারের ভূমিকাও নিয়েও প্রশ্ন তুললেন। তবে এবার হয়তো সিবিআই নড়েচড়ে বসবে। বিচার মিলবে বলেই মন্তব্য অভয়ার বাবা এবং মায়ের।। এদিন কলকাতা হাইকোর্ট চত্বরে (RG Kar Case) সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিলোত্তমার বাবা।
বলেন, "রাজ্য সরকার একদিকে বলছে, আবারও তদন্তে তাদের কোনও আপত্তি নেই। আবার আইনের দিক থেকে বাধা দেখাচ্ছে। রাজ্য সরকারের আদৌতে কি চাইছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অভয়ার পরিবার। শুধু তাই নয়, গত ৯ তারিখ থেকে রাজ্য সরকারের যে চরিত্র আমরা দেখে আসছিলাম, ফের একবার কলকাতা হাইকোর্টে তা দেখা গেল বলেও এদিন দাবি করেন।
একই সঙ্গে সিবিআই'য়ের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। অভয়ার বাবা বলেন, ৫৪ টি প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়নি। সেই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর আমরা পেতে চাই। তবে এদিন যেভাবে বিচারপতি কথা বললেন তাতে স্পষ্ট বিষয়টি নিয়ে আদালত ভাবনাচিন্তা শুরু করে দিয়েছে। অন্যদিকে সিবিআই তদন্তে একাধিক রহস্য রয়ে গিয়েছে বলেও দাবি করেন অভয়ার বাবা-মা। তাঁদের কথায়, অনেক রহস্যের উদ্ঘাটন হয়নি সিবিআই তদন্তে। আরও গভীরে গিয়ে তদন্ত করা উচিৎ বলে দাবি।
অন্যদিকে এদিন মামলার শুনানি যেভাবে এগিয়েছে তাতে আশ্বাস প্রকাশ করেছেন তিলোত্তমার মা। তাঁর কথায়, মনে তো হচ্ছে বিচারের দিকে এগোচ্ছে। আমরা অনেকবার সিবিআইকে বুঝিয়েছি যে এটা 'প্রাতিষ্ঠানিক খুন'। ধর্ষণের মোটিভ ছিল না, খুন করাই ছিল মোটিভ, দাবি অভয়ার মা'য়ের। শুধু তাই নয়, এই প্রসঙ্গে আরও চাঞ্চল্যকর দাবি করেন তিনি। বলেন, হাসপাতালে জাল ওষুধের দুর্নীতি সে জেনে ফেলেছিল, এর প্রতিবাদ করেছিল। আর সেই কারণেই খুন করা হয়েছে বলে বিস্ফোরক দাবি তিলোত্তমার মা'য়ের। এই বিষয়টিও বারবার সিবিআইকে জানানো হয়, কিন্ত্য কোনও গ্রাহ্য করেনি। এবার নড়েচড়ে সিবিআই বসবে বলে দাবি তিলোত্তমার মা'য়ের।
বলে রাখা প্রয়োজন, এদিন মামলার শুনানিতে রাজ্যের তরফে বেশ কিছু প্রশ্ন তোলা হয়। মামলার শুনানিতে সরকারি আইনজীবী বলেন, বিচার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর কি পরবর্তী পর্যায়ের তদন্ত করা যায়? এমনকী বিশেষ আদালত কি এর অনুমতি দিতে পারে? শুনানিতে প্রশ্ন রাজ্যের। শুধু তাই নয়, বিশেষ আদালতে আবেদন কেন পরিবার জানাচ্ছে না তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। রাজ্যের এহেন ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন সর্বস্তরে। শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন