সারাদেশের বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা সম্প্রতি ছয় দফা দাবিতে ব্যাপক আন্দোলনে নেমেছে। ঢাকার তেজগাঁওয়ের সাত্রাস্তা এলাকায় প্রধান সড়ক অবরোধের মাধ্যমে শুরু হওয়া এ আন্দোলন রাজধানীসহ অন্যান্য জেলায়ও ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে তীব্র যানযট সৃষ্টি হয়েছে ঢাকা সহ অন্যান্য এলাকায়।
বিক্ষোভের মুখে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান খানকে অপসারণ করা হয়েছে । তাঁর স্থানে ভাইস-প্রিন্সিপাল, সাহেলা পারভীনকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবি হলো:
১. ২০২১ সালের পর নিযুক্ত "বিতর্কিত ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের" বদলি।
২. চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স অব্যাহত রাখা।
৩. প্রতিটি সেমিস্টারকে পূর্ণ ছয় মাসের করা।
৪. ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টর থেকে জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টরে উন্নয়নে ৩০% কোটা বাতিল।
৫. ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার (গ্রেড-১০) পদ শুধুমাত্র ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য সংরক্ষণ।
৬. কারিগরি শিক্ষা বোর্ড পুনর্গঠন ও অকারিগরি ব্যক্তিদের কারিগরি শিক্ষায় প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ রোধ।
বিক্ষোভের অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা সারাদেশে রেলপথ অবরোধের ঘোষণা দিলেও পরে প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনূস ও শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরারের হস্তক্ষেপে তাঁরা আলোচনার আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করে।
অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান খান শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ‘বাইরের প্ররোচনা’ বলে উল্লেখ করেন এবং নিয়োগবিধি পরিবর্তনের জন্য সময় প্রয়োজন বলে মত দেন। তবে, তিনি শহরের স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত করার ঘটনাকে ‘উচিত নয়’ বলে মন্তব্য করেন।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, আলোচনা ফলপ্রসূ না হলে তাঁরা আবারও কঠোর কর্মসূচিতে যাবেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন