নয়াদিল্লি, ২৪ এপ্রিল ২০২৫: কাশ্মীরের পাহেলগাঁওয়ে ২২ এপ্রিল ঘটে যাওয়া ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর ভারত সরকার পাকিস্তানের প্রতি কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে। হামলায় ২৬ জন নিরীহ নাগরিক প্রাণ হারান, যার মধ্যে একজন নেপালি পর্যটকও ছিলেন। এই ঘটনার সঙ্গে পাকিস্তান-সমর্থিত জঙ্গি গোষ্ঠীর যোগসূত্র পাওয়ার পর দেশজুড়ে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় ওঠে।
ভারত সরকার একগুচ্ছ কূটনৈতিক ও কৌশলগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে, যার মধ্যে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ হল পাকিস্তানি নাগরিকদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশত্যাগের নির্দেশ।
সরকারের কড়া মূল পদক্ষেপসমূহ:
ইন্দাস জলচুক্তি স্থগিত: ১৯৬০ সালের ভারত-পাকিস্তান ইন্দাস জলচুক্তি ভারত একতরফাভাবে স্থগিত করেছে। এই ঐতিহাসিক চুক্তির মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে জলবন্টনের নিয়ম নির্ধারিত হয়েছিল। এই সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছে।
আটারি- ওয়াগা সীমান্ত বন্ধ: ভারত-পাকিস্তান স্থলসীমান্তের প্রধান প্রবেশদ্বার আটারি-ওয়াগা সীমান্ত সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
কূটনৈতিক সম্পর্ক হ্রাস: উভয় দেশের দূতাবাসে কর্মরত কর্মচারীর সংখ্যা কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভারতীয় দূতাবাসের কর্মী সংখ্যা ৫৫ থেকে ৩০-এ নামিয়ে আনা হবে।
ভিসা বাতিল: পাকিস্তানি নাগরিকদের ইস্যুকৃত সমস্ত ভিসা বাতিল করা হয়েছে এবং SAARC ভিসা ছাড়পত্র কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
সেনা ও নিরাপত্তা অভিযান: লস্কর-ই-তইয়বা জঙ্গি গোষ্ঠীর তিন সদস্যের স্কেচ প্রকাশ করা হয়েছে এবং একটি দেশব্যাপী চিরুনি অভিযান শুরু হয়েছে। অভিযানে একাধিক সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি:
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই হামলাকে “দেশের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ” হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, “জঙ্গিবাদকে মদদ দেওয়া দেশগুলির বিরুদ্ধে আমরা চূড়ান্ত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য।” একইসঙ্গে তিনি ঘোষণা করেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সমস্ত পাকিস্তানি নাগরিকদের ভারতে থাকা অবৈধ হবে এবং তাদের নিজ দেশে ফিরে যেতে হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন