ঢাকা,১৪ ই এপ্রিল: বাংলাদেশে একটি আদালত ব্রিটিশ লেবার পার্টির সংসদ সদস্য টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা অভিযোগে বলা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে প্রভাব খাটিয়ে তিনি রাজধানীর কূটনৈতিক এলাকায় অবস্থিত ৭,২০০ বর্গফুটের একটি জমি অবৈধভাবে অর্জন করেছেন।
টিউলিপ সিদ্দিক, যিনি শেখ হাসিনার ভাগ্নি, বর্তমানে যুক্তরাজ্যের হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্য। অভিযোগে বলা হয়েছে, তিনি প্রভাব খাটিয়ে সংশ্লিষ্ট সরকারি দফতরের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে সম্পত্তিটি নিজের নামে নিতে সহায়তা নেন। এর ফলে সরকারের জমি অধিগ্রহণ নীতিমালা লঙ্ঘিত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠে।
দুদক ইতিমধ্যেই টিউলিপ সিদ্দিকসহ আরও ৪৬ জনের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেছে। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক ও বর্তমান সরকারি কর্মকর্তাসহ শেখ হাসিনার পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্য। মামলাটি দুর্নীতির মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি আত্মসাৎ এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের ধারায় দায়ের হয়েছে।
টিউলিপ সিদ্দিক এই অভিযোগ অস্বীকার করে একে “রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভিত্তিহীন” বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতির অস্থিরতা ও ব্যক্তিগত আক্রমণের অংশ হিসেবেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।”
বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রত্যার্পণ চুক্তি না থাকায় টিউলিপ সিদ্দিককে দেশে ফিরিয়ে আনার সম্ভাবনা খুবই কম। তবে আন্তর্জাতিক আইন ও কূটনৈতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিষয়টি পরবর্তী পর্যায়ে গড়াতে পারে। বিশ্লেষকরা আরও বলছেন, এই মামলা বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পটভূমিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলতে পারে, বিশেষত যখন শেখ হাসিনার শাসনামলের নানা সিদ্ধান্ত ও কর্মকাণ্ড নিয়ে পুনর্মূল্যায়ন চলছে। এ প্রসঙ্গে আরও জানতে চাইলে দুদক সূত্র জানায়, তদন্ত এখনও চলমান এবং প্রয়োজনে আরও নাম অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।
এই ঘটনাকে ঘিরে দেশ-বিদেশে ব্যাপক আলোচনা তৈরি হয়েছে এবং রাজনৈতিক অঙ্গনেও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন