১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের জন্য যে রক্ত ঝরে ছিল বাঙ্গালীদের সেই আন্দোলনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন নলিনাক্ষ বাবু। রবিবার ঘড়ির কাঁটায় তখন সকাল নটা কোচবিহার শহরের এমজেএন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন এই বিপ্লবী। মৃত্যুকালে রেখে গেলেন শ্রী তিন ছেলে পুত্রবধূ ও নাতি-নাতনীদের। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর।
নলিনাক্ষ বাবুর আদি বাড়ি ছিল ঢাকায়। উর্দু ভাষাকেই তখন রাষ্ট্রভাষা করতে চেয়েছিল পাকিস্তান সরকার। সে সময় যখন ভাষা আন্দোলন চরম পর্যায়ে পৌঁছায় তখন তিনি সপ্তম শ্রেণীর একজন ছাত্র। তখন নলিনক্ষ বাবুর বয়স ছিল ১৫ বছর। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নলিনাক্ষ বাবু ও তার সহপাঠীরা মিলে প্রতিবাদ জানিয়েছিল। তিনি বাংলা ভাষার স্বপক্ষে গান ও কবিতাও লিখতেন। তৎকালীন পূর্ববঙ্গের ঢাকায় বসবাস করতেন নলি নাক্ষ বাবু। পরবর্তীকালে ১৯৬৪ সালে কোচবিহারের গুঞ্জবাড়ি এলাকায় এসে স্থায়ী ভাবে বসবাস শুরু করেন। এখানে এসে মহান বিপ্লবী সোনা রুপোর অলংকার তৈরি করার ব্যবসা শুরু করেন। প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা দিবস এলেই বিভিন্ন ক্লাব সংগঠন থেকে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হতো নলিনাক্ষ বাবুকে। পরিবার সূত্রে জানা যায় তিনি মাসখানেক ধরেই অসুস্থ ছিলেন, বয়সজনিত কারণেই রবিবার সকালে মৃত্যু হয়। সকাল থেকে মৃত্যুর খবর জানাজানি হতেই শোকের ছায়া নেমে আসে কোচবিহার শহরে। শেষ বিদায় উপস্থিত ছিলেন নাট্যকর্মী থেকে শুরু করে লেখক , স্থানীয় কাউন্সিলর আরো অনেকেই।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন