আহমেদাবাদের বিমান বিপর্যয় থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার দমদম বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এয়ারপোর্ট লাগোয়া অঞ্চল গুলিতে বিমান ওঠানামার ক্ষেত্রে সতর্কতা স্বরূপ একাধিক পদক্ষেপ নিচ্ছে । যা নিয়ে বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকার বেশ কয়েকটি পৌরসভাকে ইতিমধ্যেই নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সূত্রের খবর, যেখানে বলা হয়েছে বিমানবন্দরের ২০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে কোনও বিশাল আকারের বহুতল নির্মাণের ক্ষেত্রে, এবার থেকে লাগবে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র তাছাড়া মিলবে না অনুমতি। মধ্যমগ্রাম, নিউ ব্যারাকপুর এর পাশাপাশি এবার বিধাননগর এবং উত্তর দমদম পুরসভা এলাকা রয়েছে কলকাতা বিমানবন্দরের ফানেল এরিয়ার (যে পথে বিমান ওঠানামা করে) মধ্যে। জানা গিয়েছে, মধ্যমগ্রাম পৌরসভার ২৬, ২৭ এবং ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে দোতলার বেশি উঁচু ভবন করার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের পাঠানো নোটিশ অনুযায়ী, এ বার থেকে বিমানবন্দরের ২০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে যেকোনো বহুতল তৈরি করতে গেলে আবেদন করতে হবে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে। এই আবেদন অনলাইনে করা যাবে। সেই ছাড়পত্র পাওয়া গেলে, তবেই ভবনের ‘প্ল্যানে’ অনুমোদন দেবে সংশ্লিষ্ট পুরসভা। এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ৪৫ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত ভবন করতে দেওয়া হয়। এবার সেই উচ্চতাও নিয়ন্ত্রণ করা হতেপারে বলে সূত্রের খবর। তবে বিষয়টি নিয়ে মধ্যমগ্রাম পৌরসভার পৌর প্রধান নিমাই ঘোষ জানান, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের দেওয়া লিস্ট অনুযায়ী কিছু হাইমাস লাইটের পোস্ট কিছু ইলেকট্রিক পোস্ট এগুলি সরানোর জন্য। এরপরই অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার সহ একটি বিশেষ দল তৈরি করে পৌরসভার তরফে বিষয়গুলি খতিয়ে দেখে পর্যবেক্ষণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খতিয়ে দেখে পৌরসভার যা করণীয় তা করবে বলেও জানান তিনি। জানা গিয়েছে বিটি কলেজ এলাকায় একটি হাইমাস লাইটের পোস্ট ছিল পৌরসভার তরফ থেকে সেটি ইতিমধ্যেই নামিয়ে নেওয়া হয়েছে। আরো একটি হাইমাস লাইট চিহ্নিত করা হয়েছে বলেও জানান। জয়েন্ট ইনস্পেকশন হলে, সেটি চিহ্নিত করলে, খুলে দেওয়া হবে। তবে ফানেল জোনের মধ্যে বহুতল বিল্ডিং নেই বলেই জানান মধ্যমগ্রাম পৌরসভার পৌর প্রধান। তবে এয়ারপোর্ট অথরিটির অনুমোদন ছাড়া কোন বহুতল নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হয়নি বলেও এদিন জানান পৌর প্রধান নিমাই বাবু। এই ফানেল জোনের মধ্যে তিনটি ভাগ রয়েছে। একটি পৌরসভার, একটি ডাব্লুবিএসইডিসিএল এর এবং আরেকটি NH 34 এর। মূলত সুকান্তনগর থেকে বিটি কলেজ পর্যন্ত এই জোনকেই বিশেষভাবে নজর রাখা হচ্ছে এক্ষেত্রে। তবে কিছু ক্ষেত্রে অনুমতি নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। যারা অতীতে অনুমতি নিয়ে পাঁচ তলা বিল্ডিং করেছেন তাদের যদি বিল্ডিং ভাঙতে হয় সেক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ কি হবে! যদিও ইতিমধ্যে সেই বহুতল চিহ্নিত করা কোন তালিকা এখনো হাতে পাননি পৌরসভা বলেও জানান সিআইসি সুভাষ ব্যানার্জি। তবে এলাকার মানুষজন দেশের স্বার্থে নিজেদের সুরক্ষা বজায় রাখতে সব রকম ভাবে প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান তিনি। বিষয়টি নিয়ে নজর রাখছেন এলাকার বিধায়ক তথা মন্ত্রী রথীন ঘোষও।
উঁচুতল বাড়ি তৈরি করতে গেলে এবার থেকে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিতে হবে
Amrita Saha
0
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন