Top News

ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ঘরহারা হলেন বারাসাতের বহু মানুষ

রাত থেকে ভোর হল এভাবেই, দু'চোখের পাতা এক হয়নি কারোর। হঠাৎই বিধ্বংসী আগুন আর তাতেই যেন ঘর ছেড়ে প্রাণে বাঁচার লড়াইয়ে নামতে হয়েছে বারাসত কদম্বগাছি পঞ্চায়েতের অন্তর্গত পীরগাছা এলাকার বহু মানুষকে। চোখের সামনে দেখলেন নিজেদের সর্বস্ব আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যেতে। আগুন গিলে খেল মাথা গোজার শেষ আশ্রয়টুকুও। চোখের জল ফেলা ছাড়া আর কিছুই করতে পারলেন না অসহায় পরিবারগুলি। বিভিন্ন প্রশ্ন ঘুরে ফিরে আসছে এলাকাবাসীর মনে এখন এই ক্ষতিপূরণ কে মেটাবে? কিভাবে চলবে পরবর্তী দিনগুলি? এ সবই ভেবে উঠতে পারছেন না ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষজন। বারাসাতের বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মুহূর্তেই যেন বদলে দিয়েছে জীবন। এখনও পুরোপুরি নেভেনি আগুনের লেলিহান শিখা। চোখের সামনেই সবকিছু শেষ হতে দেখেছেন সর্বহারা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষজন। স্থানীয় মানুষজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কিছু বুঝে ওঠার আগেই দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে গোডাউন ও কারখানার আগুন। আগুনের তীব্রতা তখন এতটাই ছিল যে এলাকা, বাড়ি ছেড়ে পালালেন বহু পরিবারের মানুষজন। প্রাণ বাঁচাতেই সর্বস্ব ফেলে রেখে বেরিয়ে আসেন তারা বলেই জানান। অভিযোগ অতীতের ইট ভাটার জলা জমি বুজিয়ে একপ্রকার অবৈধভাবেই মাটি ফেলে তৈরি করা হয়েছিল এই কারখানা ও গোডাউনের এলাকা। যা সুউচ্চ পাঁচিল দিয়েও ঘেরা হয়েছিল। রংয়ের কারখানা সহ প্যাম্পার্স এর কারখানাও ছিল এইখানে। ফলে দাহ্য পদার্থ ব্যাপক পরিমাণে মজুদ ছিল গোডাউন ও কারখানায় বলেই জানাচ্ছেন তারা। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা হওয়ায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সেই বিধ্বংসী আগুন। আগুনে পুড়ে গিয়েছে সঞ্চয়ের সবকিছুই, এখন তাই চোখের জল ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট নেই বহু পরিবারের। তবে এখন আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে হলেও তবে পুরোপুরি আগুন নেভাতে এখনো বেশ কিছুটা সময় লাগবে বলেই জানা গিয়েছে দমকলের তরফে। পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে অন্যত্র স্থানীয় এলাকাবাসীদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলের কাছাকাছি যেতে দেওয়া হচ্ছে না এলাকার মানুষদের। দমকল যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে এখন ও আগুন নেভানোর কাজ চালাচ্ছে। দূর থেকে নিজেদের সবকিছু শেষ হয়ে যাওয়া চোখের সামনেই যেন দাঁড়িয়ে দেখছেন বহু পরিবার,সঙ্গী শুধুই চোখের জল।
 

ঘরহারা এক স্থানীয় বাসিন্দা







Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন