এই অভিযোগ ঘিরে রাজ্যে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
ইতিমধ্যেই ওই ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে একাধিক নারী নিগ্রহ, মারামারি ও হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে। রাজন্যার এই দাবি সেই কেলেঙ্কারিকে আরও জটিল করে তুলল।
"AI দিয়ে তৈরি আমার ন্যুড ছবি"-বিস্ফোরক দাবি রাজন্যারঃ
টিভি ৯ বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাজন্যা বলেন, "AI দিয়ে আমার নগ্ন ছবি তৈরি করে সার্কুলেট করা হয়েছিল। বিষয়টি আমি প্রথম জানতে পারি, যখন আমার স্বামী প্রান্তিকের কাছে তাঁর জুনিয়ররা সেই ছবি পাঠায়।"
তিনি আরও যোগ করেন, "এই ঘটনা প্রমাণ করে অভিযুক্ত ছাত্রনেতার মানসিক বিকৃতি কতটা ভয়াবহ ছিল। শুধু আমি নই, এমন আরও অনেক মেয়েকে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে এই নেতার হাতে।"
ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে জমছে একের পর এক অভিযোগঃ
রাজন্যা ছাড়াও এর আগে আরও এক ছাত্রী অভিযোগ করেন, ওই অভিযুক্ত জোর করে তাঁর প্যান্টের চেন খুলে শারীরিক সম্পর্ক করার চেষ্টা করেছিল। কসবার গণধর্ষণ কাণ্ডে অভিযুক্ত ওই ছাত্রনেতার মোবাইলে নানারকম অশ্লীল কনটেন্টের সন্ধান পায় পুলিশ।
গ্রেফতারির পর থেকেই একের পর এক নারী নির্যাতনের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসছে। তার মধ্যে রাজন্যার AI নগ্ন ছবি কাণ্ড নিঃসন্দেহে সবচেয়ে গুরুতর এবং প্রযুক্তিনির্ভর সাইবার অপরাধের দৃষ্টান্ত।
"আগে ঘরদোর পরিষ্কার করতে হবে"-রাজন্যার বার্তাঃ
রাজন্যা স্পষ্টভাবে বলেন, "তৃণমূল ছাত্র পরিষদের মধ্যে এমন অনেক বিকৃত মানসিকতার লোক রয়েছে। আমাদের নিজেদের ঘর আগে পরিষ্কার করতে হবে, তারপর অন্যদের নিয়ে কথা বলব।"
এই বক্তব্য রাজনৈতিক মহলে অন্তর্দ্বন্দ্ব এবং আভ্যন্তরীণ বিশৃঙ্খলার ইঙ্গিত বলেই অনেকে মনে করছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই বিষয়টি ঘিরে চলেছে তীব্র আলোচনা এবং নিন্দার ঝড়।
সাইবার অপরাধে পুলিশের হস্তক্ষেপ জরুরিঃ
AI-এর মতো আধুনিক প্রযুক্তির অপব্যবহার করে ব্যক্তিগত ছবি তৈরি ও প্রচার বর্তমান সময়ে একটি গুরুতর সাইবার অপরাধ। রাজন্যার অভিযোগ অনুযায়ী, এর যথাযথ তদন্ত এবং ডিজিটাল ফরেনসিক এনালিসিস প্রয়োজন।
সরকারি স্তরে AI-এর অপব্যবহার ঠেকাতে সুস্পষ্ট আইন এবং মনিটরিং সিস্টেম চালু করা এখন সময়ের দাবি।
প্রশ্ন: রাজন্যা হালদার কী অভিযোগ এনেছেন?
উত্তর: তাঁর দাবি, AI দিয়ে তাঁর নগ্ন ছবি বানিয়ে মোবাইলে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।
প্রশ্ন: অভিযুক্ত কে?
উত্তর: তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এক প্রভাবশালী নেতা, যিনি কসবা গণধর্ষণ কাণ্ডে অভিযুক্ত ও বর্তমানে গ্রেফতার।
প্রশ্ন: AI দিয়ে ছবি বানানো কি সাইবার অপরাধ?
উত্তর: হ্যাঁ, অনুমতি ছাড়া কারোর ছবি বিকৃতভাবে তৈরি বা প্রচার সাইবার অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়।
প্রশ্ন: এই ঘটনায় প্রশাসনের কী ভূমিকা?
উত্তর: পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে এবং তদন্ত চলছে। তবে AI ব্যবহারের অংশে সাইবার সেলকে আরও সক্রিয় হওয়া দরকার।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন