
শ্রমকোড বাতিল সহ একাধিক দাবিতে দেশজুড়ে চলছে শ্রমিক সংগঠনগুলির ডাকে সাধারণ ধর্মঘট। পশ্চিমবঙ্গেও বিভিন্ন জায়গায় বনধের সমর্থনে পথে নেমেছেন বাম কর্মী সমর্থকরা। ইতিমধ্যেই একাধিক বাম কর্মীকে গ্রেফতারের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।
উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ধর্মঘটের মিশ্র প্রভাব পড়েছে। কোথাও পুলিশের লাঠিচার্জ তো কোথাও গ্রেফতার করা হয়েছে বনধ সমর্থনকারীদের। বুধবার সকালে সৃজন ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে বাঘাযতীন মোড় থেকে বনধের সমর্থনে মিছিল শুরু হয়। গাঙ্গুলি বাগান মোড়ে মিছিল আটকায় পুলিশ। দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক ধ্বস্তাধস্তি চলে। টেনেহিঁচড়ে সৃজনকে প্রিজন ভ্যানে তোলার চেষ্টা করে পুলিশ।
সৃজন বলেন, “বিজেপির বিরুদ্ধে ধর্মঘট আর তৃণমূলের দালাল পুলিশ ধর্মঘট আটকাতে এসেছে। এদের মালকিন চাল চোর আর এরা টায়ার চোর। টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করতে দিচ্ছে না আমাদের। পুরুষ পুলিশ মহিলাদের হেনস্থা করেছে। কীসের ভয় এদের?”
পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে ফের মিছিল শুরু করতেই গ্রেফতার করা হয় সৃজন ভট্টাচার্য সহ ১৬ জন বাম কর্মী সমর্থককে।
পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে ধর্মঘটের সমর্থনে রাস্তা অবরোধ করায় ক্ষেতমজুর ইউনিয়নের রাজ্য নেতৃত্ব হিমাংশু দাস সহ পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। থানায় নেতৃত্বদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে অবস্থান চলছে এখন।
কোচবিহারের দিনহাটায় ১১ জন ধর্মঘটীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জেও বহু সিপিআইএম কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অন্যদিকে, জেলায় জেলায় রেল অবরোধ করছেন ধর্মঘট সমর্থনকারীরা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানা স্টেশনে রেল অবরোধের জন্য রেল লাইনে বসে পড়েন বনধ সমর্থনকারীরা। পরে রেল পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সকাল ৮.৩০ টা নাগাদ উত্তেজনার সৃষ্টি হয় দুর্গাপুর স্টেশনেও। সেখানে বনধের সমর্থনে রেল অবরোধের চেষ্টা করেন বাম কর্মী সমর্থকরা। রেল পুলিশ বাধা দিলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ধর্মঘটীরা। হুগলির কোন্নগর ও রিষড়া স্টেশনের মাঝে রেল অবরোধ করেন সিপিআইএম কর্মীরা। বেশ কিছু লোকাল ট্রেন আটকে পড়ে।
এছাড়া হাওড়ার ডোমজুড়ে সিপিআইএম কর্মীদের উপর লাঠিচার্জের অভিযোগ উঠলো পুলিশের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় দুজন আহত হয়েছেন। ধর্মঘটের সমর্থনে সকাল সকাল পথে নেমে স্লোগান দিচ্ছিলেন সিপিআইএম কর্মীরা। এতে বেশ কিছু বাস, লরি দাঁড়িয়ে পড়ে। যানজটের সৃষ্টি হয়। ঘটনাস্থলে আসে ডোমজুড় থানার পুলিশ ও র্যাফ। এরপর লাঠিচার্জ করে ধর্মঘটের সমর্থকদের হঠিয়ে দেয় পুলিশ। ২ জন সিপিআইএম কর্মী আহত হয়েছেন। তাদের ডোমজুড় গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
জলপাইগুড়িতে ধর্মঘটের সমর্থনে পথে নামা বাম কর্মীদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধর্মঘটের ব্যাপক প্রভাব দেখা যাচ্ছে জলপাইগুড়িতে। এছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষপ্তি অশান্তির খবর পাওয়া যাচ্ছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন