Top News

Gujarat: গুজরাটে সেতু ভেঙে নদীতে পড়ল একাধিক গাড়ি! মৃত ৯, আহত বহু, চলছে উদ্ধারকাজ

  বুধবার সকালে গুজরাটের ভডোদরার গম্ভীরা-মুজপুর সেতুর উপর এই দুর্ঘটনা ঘটে। আচমকাই সেতুর মাঝামাঝি অংশ ভেঙে পড়ে নীচের মহিসাগর বা মাহি নদীতে। কমপক্ষে পাঁচটি গাড়ি নদীতে পড়ে যায়।

সেতুর কিনারায় বিপজ্জনক ভাবে ঝুলে রয়েছে একটি তেলের ট্যাঙ্কার

ফের সেতু বিপর্যয় গুজরাটে। মহিসাগর নদীর উপর ভেঙে পড়ল গম্ভীরা সেতু। খবর মিলতেই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় উদ্ধারকারী দল। এখনও পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জানা গেছে, সেতু ভেঙে পাঁচটি গাড়ি নদীতে পড়ে গিয়েছে।

বুধবার সকালে গুজরাটের ভডোদরার পডরা তালুকের গম্ভীরা-মুজপুর সেতুর উপর এই দুর্ঘটনা ঘটে। আচমকাই সেতুর মাঝামাঝি অংশ ভেঙে পড়ে নীচের মহিসাগর বা মাহি নদীতে। গুজরাট সরকারের মুখপাত্র এবং মন্ত্রী ঋষিকেশ প্যাটেল জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে সেতু ভেঙে পড়ার পর কমপক্ষে পাঁচটি গাড়ি নদীতে পড়ে গেছে।

এই ঘটনার একাধিক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে (সেই সমস্ত ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি পিপলস রিপোর্টার)। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সেতুর ওই অংশে তিন-চারটি গাড়ি ছিল। সব সমেতই সেতুর ওই অংশ নদীতে পড়ে যায়। সেতুর যে অংশ দাঁড়িয়ে রয়েছে, তার একেবারে কিনারায় বিপজ্জনক ভাবে ঝুলে রয়েছে একটি তেলের ট্যাঙ্কার।

প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, ‘‘ওই সময় দু’টি ট্রাক, একটি ভ্যান এবং একটি গাড়ি সেতু দিয়ে যাচ্ছিল। সেতুর একটি অংশ আচমকাই ভেঙে পড়ে। ওই অংশে থাকা গাড়িগুলিও উপর থেকে সোজা নদীতে গিয়ে পড়ে।"

১৯৮১ সালে গম্ভীরা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ১৯৮৫ সালে এটি জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। ২০১৭ সালে কংগ্রেস সেতুটির অবনতিশীল অবস্থার কারণে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছিল। এই সেতু পুনর্নির্মাণের জন্য তিনমাস আগে ২১২ কোটি টাকা অনুমোদন করেছিল সরকার। নতুন সেতুর নকশা এবং টেন্ডারের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে।

এই ঘটনায় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল গভীরভাবে শোকপ্রকাশ করেছেন। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, "ভদোদরার কালেক্টরের সাথে কথা বলার পর আহতদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করার এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে"।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০২২ সালে ভয়াবহ সেতু বিপর্যয় ঘটে গুজরাটে। মোরবীতে সেতু ভেঙে পড়ে ১৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এর আগে সংস্কারের জন্য প্রায় দু’দশক ধরে বন্ধ ছিল ব্রিটিশ আমলে তৈরি হওয়া ওই সেতু। পুনর্নির্মাণের পর ২০২২ সালের অক্টোবরে জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয় ঝুলন্ত সেতুটি। খুলে দেওয়ার চার দিনের মধ্যেই সেতুটি ভেঙে পড়ে। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, সেতুর সংস্কারে খামতি ছিল।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন