রাজন্যার সঙ্গে সজলের কী কথা হল?
রাজন্যাকে ফোন করা নিয়ে সজল বলেছেন, ‘আমি ওকে ফোন করেছিলাম। বলেছি, যে অভিযোগগুলো তুমি টিভির সামনে কান্নাকাটি করে করেছো, সেগুলোর বদলে থানায় অভিযোগ করা উচিত। ওকে দীর্ঘদিন ধরে চিনতাম। বিভিন্ন ডিবেটে একসঙ্গে অংশ নিয়েছি। ও বলল, দলকে জানিয়েছে। আমি বললাম, থানায় জানানো উচিত।’
রাজন্যা ও তাঁর স্বামী প্রান্তিক কি বিজেপিতে যোগ দেবেন? এই নিয়ে কি কোনও কথা হয়েছে? প্রশ্নের জবাবে সজল বলেছেন, ‘দলে নেওয়ার ক্ষমতা আমার নেই। দলে কিছু নিয়মশৃঙ্খলা রয়েছে। কোনও জল্পনার কারণ নেই। দলে নেওয়ার মালিক আমি নই।
সেটা দল বুঝবে। আমি দলের একজন সিপাই। ও (রাজন্যা) যদি বলে দলে যোগ দিতে চায়, সেটা আমি দলকে জানাব। দল নিয়ে কোনও কথা হয়নি।’ এরপরেই রাজন্যার প্রশংসা করে সজল বলেছেন, ‘ওর কথা খুব ভাল, বক্তব্য রাখে ভাল।’
রাজন্যার ছবি-বিতর্কে সজল বলেছেন, ‘এআই হোক, বিকৃত হোক বা আসল হোক, ওর উচিত প্রথমে থানায় অভিযোগ করে না। এটা নিয়ে দলের (তৃণমূল) লোকের নোংরামি করা উচিত নয়।’
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কসবায় সাউথ ক্যালকাটা ল’কলেজে ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনার পর পরই বিস্ফোরক দাবি করেন রাজন্যা। এআই দিয়ে তাঁর বিকৃত ছবি জুনিয়রদের দেখানো হত বলে দাবি করেছেন তিনি। রাজন্যার এহেন মন্তব্য প্রকাশ্যে আসার পর হইচই শুরু হয়। এই নিয়ে তৃণমূলের অন্দরেও শোরগোল পড়ে। রাজন্যার বিরুদ্ধে সরব হন তৃণমূলেরই একাংশ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন