Top News

ল কলেজের পর এবার আইআইএম জোকা, হস্টেলে তরুণীকে ডেকে ধর্ষণের অভিযোগ


 ফের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রীর উপর যৌন হেনস্থার গুরুতর অভিযোগ। কসবার আইন কলেজের (Kasba Law College) ঘটনার রেশ এখনও দগদগে, তারই মধ্যে এবার সহপাঠীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল জোকায় আইআইএম কলকাতার বয়েজ হস্টেলে (IIM Calcutta hostel)।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত ছাত্রের সঙ্গে ভুক্তভোগী তরুণীর সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয় হয়। তরুণীর এক পরিচিত বন্ধুর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হওয়ায়, তিনি অভিযুক্ত ছাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং পরামর্শের জন্য দেখা করতে চান।

ছাত্রটি তাকে আইআইএম জোকা ক্যাম্পাসে আসতে বলেন। অভিযোগ অনুযায়ী, তরুণী ওইদিন এক পরিচিতের সঙ্গে ক্যাম্পাসে আসেন। এরপর অভিযুক্ত তাকে আলাদা করে হস্টেলের একটি ফাঁকা ঘরে নিয়ে যায়, সেখানেই নাকি যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণ করা হয়।

ভুক্তভোগীর দাবি, ধর্ষণের পর অভিযুক্ত তরুণীকে হুমকি দেয়, বলেছিল-এই ঘটনা কাউকে জানালে ফল ভালো হবে না। কিন্তু সাহসিকতার সঙ্গে তরুণী সেখান থেকে বেরিয়ে এসে হরিদেবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগের ভিত্তিতে হরিদেবপুর থানার পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। রাতেই আইআইএম জোকা হস্টেলে যান তদন্তকারী অফিসাররা এবং একজন ছাত্রকে আটক করা হয়। যদিও পুলিশ নিশ্চিত করেনি, আটক হওয়া ওই ছাত্রই মূল অভিযুক্ত কি না।

অভিযোগ, কাউন্সেলিং সেশনের নামে ছাত্রীকে বয়েজ হস্টেলে ডাকে তারই এক সহপাঠী। সেখানে ঠান্ডা পানীয় ও পিৎজা জাতীয় কিছু খাবার দেওয়া হয় তাঁকে। পুলিশকে নির্যাতিতা জানিয়েছেন, সেই পানীয় খাওয়ার পরই অচৈতন্য হয়ে পড়েন তিনি। এরপর তাঁর উপর যৌন নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগ। এমনকী জ্ঞান ফিরলে প্রতিরোধ করতে গেলে তাঁকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ।



ঘটনার রেশ কাটিয়ে উঠে নির্যাতিতা প্রথমে ঠাকুর পুকুর থানায় যান। সেখান থেকে পুলিশ তাঁকে হরিদেবপুর থানায় নিয়ে আসে। অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শুক্রবার গভীর রাতে হরিদেবপুর থানার পুলিশ ক্যাম্পাসে পৌঁছয়। তদন্তে নেমে সিসিটিভি ফুটেজ ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। ছাত্রছাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গেও কথা বলছেন তদন্তকারীরা।

তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্ত ছাত্রের নাম অবশ্য গোপন রেখেছেন তদন্তকারীরা। তবে গোটা ঘটনায় কর্তৃপক্ষৎ ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। পুলিশকে নির্যাতিতা ছাত্রী জানিয়েছেন, তাঁকে বয়েজ হস্টেলের রেজিস্টারে সই করতে দেওয়া হয়নি। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, বয়েজ হস্টেলের রেজিস্টারে সই না করিয়েই কীভাবে এক ছাত্রীকে ভেতরে ঢুকতে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হল। বিষয়টি কি নিরাপত্তারক্ষীদের নজর এড়িয়ে গিয়েছিল, নাকি তাঁরা সব জানতেন? গোটা ঘটনায় প্রশ্নের মুখে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা।

এ ব্যাপারে আইআইএম কলকাতা প্রশাসনের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। প্রতিক্রিয়া এলে প্রতিবেদনে আপডেট করা হবে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন