সিঙ্গারা আর জিলিপির নাম শুনলেই এখনকার প্রত্যেক ভারতীয়ের চোখে এক ঝলক আনন্দ দেখা যায়। তবে এটি নতুন বলা ভুল হবে কারন পুরোনো আমল থেকেই বাঙালিরা খাদ্য- খাবার বিষয়ে আনেকটাই পটু। আবার অন্যদিকে, পিৎজা, এই পশ্চিমা খাবারটি আজকাল প্রতিটি অনুষ্ঠানে প্রিয় খাবার এবং শিশুদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে। কিন্তু আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন যে এই সুস্বাদু জিনিসগুলি আমাদের শরীরে কী প্রভাব ফেলে? স্বাস্থ্যের দিক থেকে এদের মধ্যে কোনটি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর, গরম সিঙ্গারা, রসালো জিলিপি নাকি চিজ ভরা পিৎজা?
যদিও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক এই বিষয়ে কোনও ধরনের সতর্কতা জারি করেননি।
পুষ্টিবিদ ডঃ করুণা চতুর্বেদী বলেছেন যে, প্রতিটি খাবারের পেছনে কোন না কোন গল্প থাকে। শুধুমাত্র স্বাদ নয়, এটি পুষ্টি এবং স্বাস্থ্যের উপরও প্রভাব ফেলে।
সিঙ্গারা ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় স্ট্রিট ফুড। এতে আলু, মশলা এবং ময়দা ব্যবহার করা হয় এবং তারপর এটি ডিপফ্রাই করা হয়। ভারতের প্রায় সব জায়গাতেই এটি প্রচলিত। ময়দা এবং ডিপফ্রাইয়ের কারণে এতে ট্রান্সফ্যাট বেশি থাকে যা কোলেস্টেরল বাড়ায়। একটি সিঙ্গারায় প্রায় ৩০০ ক্যালোরি থাকে।
জিলিপিতে থাকা রিফাইন্ড সুগার এটিকে বিপজ্জনক করে তোলে। একটি জিলিপিতে ১০০-১৫০ ক্যালোরি থাকে, তবে এতে কোনও ফাইবার বা প্রোটিন থাকে না। এতে থাকা চিনি এবং রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেট রক্তে শর্করার পরিমাণ দ্রুত বাড়ায়। নিয়মিত সেবনে ডায়াবেটিস, স্থূলতা এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
পিৎজাতে চিজ, রিফাইন্ড ফ্লোর এবং প্রক্রিয়াজাত মাংসের মিশ্রণ থাকে, যা স্বাদ বাড়ায়, কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য একদমই ভালো নয়। এক স্লাইস পিৎজাতে ২৫০-৩৫০ ক্যালোরি থাকে।
এতে ফ্যাট, সোডিয়াম এবং প্রক্রিয়াজাত উপাদান বেশি থাকে। এটি , হৃদরোগ এবং ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এই তিনটি খাবারই বেশি পরিমাণে খেলে ক্ষতিকারক। বিশেষ বিষয় হল, সিঙ্গারা এবং জিলিপি তবুও সেই মুহূর্তে তৈরি করে দেওয়া হয়, কিন্তু পিৎজার রুটি আগে থেকেই তৈরি করে রাখা হয়। সেই দিক থেকে দেখলে পিৎজা আনেকাংশেই বাকিদের থেকে বেশি ক্ষতিকর।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন