Top News

কম্বোডিয়া-থাইল্যান্ড লড়াই চলছেই, যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে অনিশ্চয়তা, জেনেনিন সর্বশেষ পরিস্থিতি?

 


থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে চলমান ভয়াবহ সামরিক সংঘাত নিরসনে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী এবং আসিয়ানের চেয়ারপার্সন আনোয়ার ইব্রাহিমের উদ্যোগে প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতির পরিকল্পনা ভেস্তে গেল। কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেট এই প্রস্তাবকে সমর্থন করলেও, থাইল্যান্ড প্রাথমিকভাবে সমর্থন জানিয়ে পরে তা থেকে সরে আসায় আঞ্চলিক শান্তি প্রচেষ্টা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেট বলেন, বর্তমান সশস্ত্র সংঘাত সমাধানের মূল চাবিকাঠি হলো থাইল্যান্ডের পক্ষ থেকে একটি প্রকৃত যুদ্ধবিরতির ইচ্ছা প্রকাশ। তিনি থাইল্যান্ডের এই পিছু হটার সিদ্ধান্তকে 'দুঃখজনক' বলে অভিহিত করেন।


থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সীমান্তে সাম্প্রতিক সংঘর্ষ ঠেকাতে মালয়েশিয়ার নেতৃত্বে আসিয়ান জোট এই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছিল। এই প্রস্তাবে উভয় পক্ষকে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে আলোচনার মাধ্যমে দীর্ঘদিনের সীমান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির আহ্বান জানানো হয়েছিল। তবে থাইল্যান্ড সরকার এই বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।


এর আগে আসিয়ান মিয়ানমারের রাজনৈতিক সংকটসহ আঞ্চলিক বিভিন্ন সঙ্কট সমাধানে মধ্যস্থতার চেষ্টা করলেও সীমিত সাফল্য লাভ করে। এবার থাইল্যান্ডের পিছু হটার ফলে কম্বোডিয়া-থাইল্যান্ড সংকটেও আঞ্চলিক সংস্থাটির ভূমিকা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।


সীমান্তে ছোটখাটো উত্তেজনা থেকে শুরু হওয়া থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যকার সংঘর্ষ এখন প্রচণ্ড গোলাবর্ষণ ও আর্টিলারি হামলায় রূপ নিয়েছে, যা দ্বিতীয় দিনের মতো অব্যাহত রয়েছে। এই সংঘাতে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ১৬ জন নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই থাই নাগরিক।


এই সীমান্ত সংঘাতের ফলে হাজার হাজার মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং স্থানীয় পর্যায়ে বেসামরিক নাগরিকদের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা বাড়ছে। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা উভয় দেশকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে এবং পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক করার উপর জোর দিয়েছে। থাইল্যান্ডের এই সিদ্ধান্ত আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য একটি বড় ধাক্কা বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন