আরও বলা হয়েছে,'টাইফুন উইফার পালস বর্তমানে গভীর নিম্নচাপ হিসাবে ইন্দোচায়না অঞ্চলের উপর অবস্থান করছে। যা ২৪-৩৬ ঘন্টার মধ্যে উত্তর পূর্ব বঙ্গোপসাগরে পতিত হবে। অন্যদিকে পূর্ব মধ্য দিয়ে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে যা টাইফুন উইফার রামিনেন্টের সঙ্গে মিলে নিম্নচাপ সৃষ্টি করবে ২৪শে জুলাই ২০২৫ বৃহস্পতিবার নাগাদ। সম্মিলিত সিস্টেমটি পরবর্তী পর্যায়ে শক্তিশালী হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ২৫-২৬শে জুলাইয়ের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করতে পারে।'
দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা
আলিপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে,এলাকায় ২৪ থেকে ২৬ শে জুলাই ২০২৫ পর্যন্ত সময়সীমার মধ্যে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে । এর পাশাপাশি হাওড়া, হুগলি কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি ও বিক্ষিপ্তভাবে অতিভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে উপকূলীয় এলাকায় ৪০ থেকে ৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় দমকা থেকে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। হতে পারে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি। উপকূলীয় এলাকার সমুদ্র যথেষ্ট উত্তাল হতে পারে।
বেশ কিছু সতর্কতাও জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর । বলা হয়েছে,২৪-২৬শে জুলাই এর আশেপাশে সমুদ্র উত্তাল থাকার কারণে মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হচ্ছে। ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকায় ফসলের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা থাকছে।উপকূলীয় এলাকায় দমকা থেকে ঝোড়ো হাওয়া থাকার কারণে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া দেখা যাবে। দক্ষিণবঙ্গের কিছু কিছু অঞ্চলে ঝুম চলাকালীন তীব্র বজ্রপাতের সম্ভাবনা থাকছে তাই বজ্রপাত থেকে সতর্কতা অবলম্বন করুন।
উপকূলীয় এলাকায় ও পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকায় বন্যা বা বন্যাসদৃশ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। ঝুম চলাকালীন সমুদ্র ও উপকূলীয় এলাকার নদী বাঁধ প্রচুর জলোচ্ছ্বাসের কারণে ভেঙে যেতে পারে।
"ঝুম" নামকরণ কেন?
এর ব্যাখ্যাও দিয়েছে হাওয়া অফিস । বলা হয়েছে, একনাগাড়ে ভারী বৃষ্টিপাতকে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের স্থানীয় ভাষায় 'ঝুম বৃষ্টি' বলা হয়ে থাকে । বৃষ্টির আধিক্যের কারণে ওয়েদার অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের তরফ থেকে বৃষ্টি বলয়ের নাম রাখা হয়েছে "ঝুম" ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন