Top News

হিন্দু শিক্ষিকাকে আটকে রেখে বিবস্ত্র করে নির্যাতন, নেতৃত্বে ইউনূসের যুব উপদেষ্টার বাবা

 


শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে উচ্ছেদের অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী তথা তদারকি সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বাবা বিল্লাল হোসেনের একের পর এক কুকীর্তি প্রকাশ হয়ে পড়ছে। তিনটি খুনের মামলায় জড়িত থাকার পাশাপাশি এক হিন্দু শিক্ষিকাকে পদত্যাগের জন্য চাপ সৃষ্টি করতে স্কুলে আটকে রেখে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের মতো অভিযোগও উঠেছে যুব উপদেষ্টার বাবার বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানাতে চাননি পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের চর তথা মোল্লা মুহাম্মদ ইউনূসের যুব উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। যদিও তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন যুব উপদেষ্টার গুণধর বাবা।


ছেলে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসার পরেই কুমিল্লার মুরাদনগরে ধরাকে সরা জ্ঞান করছেন আকুবপুর ইয়াকুব আলী ভূঁইয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদে থাকা বিল্লাল হোসেন। ওই স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক শিখা রাণির অভিযোগ, গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর স্কুলের একটি কক্ষে আটকে রেখে প্রথমে তাঁকে পদত্যাগের জন্য চাপ দেওয়া হয়। রাজি না হলে একপর্যায়ে তার ওপর নেমে আসে অমানবিক নির্যাতন। দীর্ঘ ৬ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ওই কক্ষে অবরুদ্ধ করে রেখে বিবস্ত্র করেও চালানো হয় নির্যাতন। পরে তাকে স্কুল থেকে বের করে ঘোরানো হয় গ্রামের প্রধান সড়কগুলোতে।' কেন তার উপরে আসিফের বাবা বিল্লালের এত রাগ তা জানতে চাওয়া হলে শিখা রাণি বলেন, 'স্কুলের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আসিফের বাবা বিল্লাল হোসেনকে ২০১৪ সালে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসাবে আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। ছেলে উপদেষ্টা হওয়ার পরেই জোর করে স্কুলের প্রধান শিক্ষক পদে বসেন বিল্লাল হোসেন। বদলা নিতে ইউপি চেয়ারম্যান শিমুল সহ ঘনিষ্ঠদের দিয়ে আমার উপরে নির্যাতন চালিয়েছেন।'


ওই নির্যাতনের বিষয়ে থানায় নালিশ জানালেও পুলিশ অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেছে বলে জানিয়েছেন শিখা দেবী। এমনকি যুব উপদেষ্টা আসিফের বাবা বিল্লাল হোসেন ও শিমুল চেয়ারম্যানসহ দোষীদের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হলেও বিচারক তা খারিজ করে দিয়েছেন।


শুধু শিখা দেবী নন, আসিফের বাবার জুলুমের শিকার হয়েছেন আর এক হিন্দুয দুলাল চন্দ্র দাসও। বিল্লাল হোসেন তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে দুলালবাবুর পুকুর দখল করার পাশাপাশি বেশ কয়েক লক্ষ টাকার গাছ কেটে নিয়েছেন। থানায় অভিযোগ জানানোর জন্য প্রাণে মারার হুমকিও দিয়েছেন।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন