বিমানটিতে থাকা ৭৫ বছরের আইনজীবী সের্জিও রাভালিয়া ও তাঁর ৫৫ বছর বয়সি স্ত্রী ঘটনাস্থলেই মারা যান বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। বিমানটি উড়তে না উড়তেই ভেঙে পড়ে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। দুর্ঘটনায় হাইওয়ের উপর থাকা দুটি গাড়ি বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একটি গাড়ির চালক মারাত্মক দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন। আরেকজন চালক সামান্য আহত হন এবং তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। হাইওয়ে জুড়ে ছড়িয়ে পড়া ধোঁয়া আর আগুনের ভয়ে একাধিক গাড়ি দ্রুত ব্রেক কষে বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচে।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত দমকল, পুলিশ ও অ্যাম্বুলেন্সের দল পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আহতদের উদ্ধার করে। হাইওয়েতে কিছুক্ষণ দু’দিকেই গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল। পরে ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে রাস্তায় ফের স্বাভাবিক যান চলাচল শুরু হয়। কীভাবে এই বিমান দুর্ঘটনা ঘটল, তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
সিসিটিভি ফুটেজে স্পষ্ট দেখা গিয়েছে, ব্যস্ত হাইওয়েতে কীভাবে বিমানটি সোজা নেমে এসে ধাক্কা লেগেই দাউ দাউ করে জ্বলতে শুরু করে। চারপাশের গাড়িগুলি প্রাণ বাঁচাতে দিকবিদিক ছুটতে থাকে। কেউ কেউ একেবারে কাছাকাছি থেকেও অল্পের জন্য রক্ষা পান।
একই দিনে আরেকটি ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে রাশিয়ার আমুর অঞ্চলে। সেখানেও একটি যাত্রীবাহী বিমান ভেঙে পড়ে ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সূত্রের খবর। রুশ সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, খারাপ আবহাওয়া আর কম দৃশ্যমানতায় অবতরণের সময় ক্রুদের সিদ্ধান্তে ভুলই দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন