ঢাকা: শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ চেয়ে ভারতের প্রতি কড়া সুরে বার্তা দিল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের ভিত্তিতে দিল্লির কাছে অবিলম্বে পদক্ষেপের আহ্বান জানানো হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনূসের দপ্তর থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে ভারতকে আহ্বান জানানো হয়েছে- তারা যেন "বিবেক ও নৈতিক স্পষ্টতা" নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়।বিবৃতিতে বলা হয়, "অনেকদিন ধরে ভারত আমাদের বৈধ প্রত্যর্পণ অনুরোধ উপেক্ষা করে এসেছে। এই অবস্থান আর টেকসই নয়।"
হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ
প্রেস সচিব শফিকুল আলমের সই করা বিবৃতিটি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করা হয়েছে। এতে শেখ হাসিনার শাসনকালে সাধারণ নাগরিকদের উপর অত্যাচার, গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দমনের মতো অভিযোগ সামনে তুলে ধরা হয়েছে। বিবৃতিতে উল্লেখ রয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম (যেমন BBC) এবং জাতিসংঘের বিভিন্ন প্রতিবেদনের, যেখানে এসব মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ তুলে ধরা হয়েছে।
বিবৃতিতে সোজাসাপটা ভাষায় বলা হয়েছে, "কোনো আঞ্চলিক বন্ধুত্ব, কৌশলগত স্বার্থ কিংবা রাজনৈতিক উত্তরাধিকার- এর কোনোটিই সাধারণ মানুষের পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডকে ন্যায্যতা দিতে পারে না।"
ভারতকে সঠিক পদক্ষেপ করার আর্জি Sheikh Hasina Extradition
ভারতের উদ্দেশে বার্তাটি আরও জোরালো হয়ে ওঠে যখন বলা হয়, "ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ঐতিহ্য রয়েছে, এখন সেই মূল্যবোধের পরীক্ষার সময়। আইন ও ন্যায়ের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে ভারতকে সঠিক পদক্ষেপ নিতে হবে।"
বিবৃতির শেষাংশে স্পষ্ট বার্তা, "বাংলাদেশের মানুষ ন্যায়বিচার চান। ভুক্তভোগীরা চান সত্যের প্রকাশ। আর বিশ্বকে দেখাতে হবে- কোনো নেতা, যত শক্তিশালীই হোন না কেন, আইনের ঊর্ধ্বে নন।"
এই ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সমাজকেও স্পষ্ট অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, "এত বড় বড় মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের পরও যদি বিশ্ব নীরব থাকে, তাহলে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পক্ষে তাদের অবস্থানকে আর বিশ্বাসযোগ্য বলা যাবে না।"
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন