FATF ভারতের দুটি বড় মামলার উল্লেখ করেছে: ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলা এবং ২০২২ সালের গোরক্ষনাথ মন্দির হামলা। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই দুটি ঘটনায় অনলাইন প্ল্যাটফর্মের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।
পুলওয়ামা হামলায় IED (Improvised Explosive Device) তৈরির জন্য অ্যামাজন (Amazon) থেকে অ্যালুমিনিয়াম পাউডার কেনা হয়েছিল, যা বিস্ফোরণের ক্ষমতা বহু গুণ বাড়িয়ে দিয়েছিল। অন্যদিকে, গোরক্ষনাথ মন্দির হামলায় অভিযুক্ত PayPal-এর মাধ্যমে প্রায় ৬.৭ লক্ষ টাকা বিদেশে পাঠিয়েছিল এবং VPN পরিষেবা ব্যবহার করে তার অবস্থান গোপন রেখেছিল।
সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন নিয়ে FATF-এর চাঞ্চল্যকর তথ্য
রিপোর্ট অনুযায়ী, সন্ত্রাসীরা এখন ই-কমার্স থেকে থ্রিডি প্রিন্টার, রাসায়নিক এবং অস্ত্রের যন্ত্রাংশও কিনছে। কিছু সংগঠন তাদের প্রচার সামগ্রী যেমন পোশাক, বই এবং সঙ্গীত বিক্রি করে অর্থ সংগ্রহ করছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, সন্ত্রাসীদের অ্যামাজন থেকে অ্যালুমিনিয়াম পাউডার কেনার ফলে IED বিস্ফোরণের ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছিল। এছাড়াও, গোরক্ষনাথ হামলায় অভিযুক্ত PayPal এবং VPN ব্যবহার করে প্রায় ৬.৭ লক্ষ টাকা বিদেশি লেনদেন করে ISIS-এর সমর্থকদের কাছে তহবিল পাঠিয়েছিল এবং তার অবস্থান গোপন রেখেছিল।
FATF আরও বলেছে যে, গত ১০ বছরে ফিনটেক এবং ডিজিটাল পেমেন্টের ক্রমবর্ধমান ব্যবহারের ফলে সন্ত্রাসীরা সস্তা, দ্রুত এবং কম ট্র্যাক করা যায় এমন একটি পথ খুঁজে পেয়েছে। সন্ত্রাসীরা এখন ই-কমার্স থেকে থ্রিডি প্রিন্টেড অস্ত্র, রাসায়নিক এবং অন্যান্য সরঞ্জাম কিনছে। FATF এও উল্লেখ করেছে যে, কিছু দেশের সরকার সরাসরি বা পরোক্ষভাবে সন্ত্রাসীদের অর্থায়ন, প্রশিক্ষণ এবং লজিস্টিক সহায়তা দিচ্ছে। ভারত দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ করে আসছে।
ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অস্ত্র কেনা হয়েছে
FATF সদস্য দেশগুলোকে সতর্ক করেছে যে, তাদের VPN, P2P পেমেন্ট এবং ই-কমার্স কার্যকলাপের উপর কঠোর নজর রাখতে হবে, কারণ এগুলো এখন সন্ত্রাসীদের সম্পদ সংগ্রহের নতুন মাধ্যম হয়ে উঠেছে। FATF সমস্ত দেশকে সতর্ক করেছে যে, P2P পেমেন্ট, VPN এবং ই-কমার্স সাইটগুলির উপর কঠোর নজরদারি রাখা হোক, কারণ এগুলো এখন সন্ত্রাসীদের জন্য সস্তা, দ্রুত এবং কম ট্র্যাক করা যায় এমন পথ হয়ে উঠেছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন