তদন্ত চালাচ্ছে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (সিট), পাশাপাশি গোয়েন্দা বিভাগও আলাদা করে তদন্তে নেমেছে (Lawyer Expulsion)।
ওই কলেজের এক ছাত্রী অভিযোগ করেছেন, কলেজের প্রাক্তন ছাত্র ও অস্থায়ী কর্মী অভিযুক্ত প্রথমে তাঁকে ইউনিয়ন রুমে ধর্ষণের চেষ্টা করে এবং পরে নিরাপত্তারক্ষীর ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। ছাত্রীর দাবি, অভিযুক্ত ছিলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (টিএমসিপি) একজন পদাধিকারী এবং আলিপুর আদালতের আইনজীবী। এই ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পাশাপাশি রাজ্য বার কাউন্সিল তাঁকে আর আইনজীবী হিসেবে মান্যতা দেবে না।
বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বলেন, 'আমরা সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, অভিযুক্তের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হলো। তাঁর সঙ্গে বার কাউন্সিলের আর কোনও সম্পর্ক নেই। আমরা তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করব এবং চাই অভিযুক্ত যেন উপযুক্ত শাস্তি পায়।'
ভাইস চেয়ারম্যান প্রসূন দত্ত বলেন, 'আমরা এই নিন্দনীয় ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অভিযুক্তের নাম ইতিমধ্যেই এনরোলমেন্ট থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তবে যেভাবে আন্দোলনের নামে কাউন্সিল সদস্যদের ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হচ্ছে, সেটি গ্রহণযোগ্য নয় (Lawyer Expulsion)।'
ছাত্রী জানিয়েছেন, ঘটনার সময় নিরাপত্তারক্ষী বাইরে ছিলেন এবং কিছু করতে পারেননি। অভিযোগ, কলেজের আরও দুই ছাত্র পাহারায় ছিলেন এবং মূল অভিযুক্তকে সহায়তা করেন। তাঁদের বিরুদ্ধেও ধর্ষণে সহায়তার অভিযোগ উঠেছে। একাধিকবার হুমকি, শারীরিক নির্যাতন ও মানসিক নির্যাতনের কথা তুলে ধরেছেন নির্যাতিতা। অভিযুক্ত তিন ছাত্র এবং নিরাপত্তারক্ষীকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও নৈতিকতার প্রশ্নে চরম উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। বার কাউন্সিলের পদক্ষেপে বার্তা স্পষ্ট—এ ধরনের অপরাধে কোনও রকম সহানুভূতি দেখানো হবে না
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন