ভারতের প্রধানমন্ত্রী জানান, পহেলগাঁও হামলার পরে পাকিস্তান জানত যে ভারত বড় কিছু একটা করবে। সেজন্য পরমাণু (অস্ত্রের) হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। তারপরও ৬ মে রাত এবং ৭ মে ভোরের মধ্যে পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরের ন'টি জঙ্গি শিবিরে হামলা চালানো হয়। একেবারে নিখুঁতভাবে ২২ মিনিটে ২২ এপ্রিলের বদলা নেয় ভারতীয় সেনা। মোদী দাবি করেন, আগেও ভারত ও পাকিস্তানের যুদ্ধ হয়েছে। কিন্তু এবার যেখানে যেখানে নিশানা করা হয়েছে, সেখানে আগে কখনও হামলা চালানো হয়নি। কেউ ভাবতেই পারেনি যে এরকম জায়গায় হামলা চালানো যায়। নিখুঁতভাবে পাকিস্তানের বুকের একেবারে সঠিক জায়গায় আঘাত হেনেছে ভারত। আজ পর্যন্ত ওদের একাধিক বায়ুঘাঁটি এখনও আইসিইউতে পড়ে আছে। একেবারে কড়া ভাষায় মোদী বলেন, আগেও দেশে জঙ্গি হামলা হত। জঙ্গি হামলার মাস্টারমাইন্ডরা নিশ্চিত থাকত। পরবর্তী হামলার প্রস্তুতি নিত। এখন জঙ্গি হামলার পরে মাস্টারমাইন্ডদের ঘুম আসে না। ওরা জানে যে ভারত আসবে, আর মেরে যাবে। এই নিউ নর্ম্যালই ভারত তৈরি করে দিয়েছে। পুরো বিশ্ব দেখে নিয়েছে যে ভারতের ক্ষমতা কতটা। মেড ইন ইন্ডিয়া' এবং 'আত্মনির্ভর ভারত' কর্মসূচির প্রশংসা করে মোদী বলেন, 'এটা প্রযুক্তি-নির্ভর যুদ্ধের যুগ। গত ১০ বছরে আমরা যে প্রস্তুতি নিয়েছিলাম, সেটা যদি না করতাম, তাহলে এই প্রযুক্তির যুগে আমাদের যে কতটা ক্ষতি হত, সেটা আমরা অনুমানও করতে পারছি না।' সেইসঙ্গে তিনি বলেন, 'অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে প্রথমবারের জন্য আত্মনির্ভর ভারতকে স্বীকৃতি দিয়েছে বিশ্ব।'
কংগ্রেসকে নিশানা করে মোদী বলেন, দুনিয়ার সমর্থন পাওয়া গিয়েছে। পহেলগাঁও হামলার পরে বিশ্বের ১৯৩টি দেশের মধ্যে মাত্র তিনটি দেশ পাকিস্তানের পক্ষে ছিল। কিন্তু এটা দুর্ভাগ্যের বিষয় যে আমাদের দেশের বীরেদের পরাক্রমকে সমর্থন করেনি কংগ্রেস। ২২ এপ্রিল হামলার পরই কংগ্রেস লাফাতে থাকে। বলতে থাকে, ৫৬ ইঞ্চির ছাতির কী হল? মোদীর কী হল? মোদী তো ফেল হয়ে গেল। পহেলগাঁও হামলার পরেও আমায় নিশানা করছিল।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন