Kolkata: এই মাসেই পশ্চিমবঙ্গ-এর ওপর আছড়ে পরতে চলেছে ঘূর্ণিঝড় 'ঝুম'। এই মাসের শেষের দিকে ২৫ থেকে ২৬ তারিখের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করতে পারে। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, টাইফুন উইফার পালস ইন্দোচায়না অঞ্চলের উপর গভীর নিম্নচাপ রূপে অবস্থান করছে, যা ২৪-৩৬ ঘন্টার মধ্যে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে আসবে। একইসাথে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। এই দুটি সম্মিলিত সিস্টেম শক্তিশালী হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ঘূর্ণিঝড় 'ঝুম' রূপে দক্ষিণবঙ্গে আঘাত আনতে পারে।
আলিপুর আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এই মাসের মাঝ তারিখ থেকে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে। হাওড়া, হুগলি, কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় মাঝারি থেকে ভারী এবং বিক্ষিপ্তভাবে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলাতেও ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। উপকূলীয় এলাকায় ৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় দমকা থেকে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে এবং বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সমুদ্র উত্তাল থাকতে পারে।
আবহাওয়া দপ্তর মৎস্যজীবীদের ২৪ থেকে ২৬ তারিখের মধ্যে গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করেছে। ভারী বৃষ্টির কারণে ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। উপকূলীয় এলাকায় দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া এবং তীব্র বজ্রপাতের সম্ভাবনা থাকায় সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে উপকূলীয় ও পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে এবং জলোচ্ছ্বাসের কারণে নদী বাঁধ ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ঝুম নামকরনের কারন হল, একনাগাড়ে ভারী বৃষ্টিপাতকে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের স্থানীয় ভাষায় 'ঝুম বৃষ্টি' বলা হয়। বৃষ্টির আধিক্যের কারণেই এই বৃষ্টি বলয়ের নাম 'ঝুম' রাখা হয়েছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন