Top News

উত্তরকাশীতে ক্ষীর গঙ্গা নদীতে হারপা বানের ফলে ধ্বংসস্তূপে পরিনত হয়েছে এক গ্রাম, মৃত ৪

Kolkata: গত ৫ই অগাস্ট, মঙ্গলবার উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশী জেলায় হারসিলের কাছে ধরালি গ্রামে এক মেঘ ভাঙা বৃষ্টির ফলে ব্যাপক ধ্বংসের সৃষ্টি হয়। যার ফলে গোটা গ্রাম এক ধ্বংস স্তূপে পরিনত হয়। এই আকস্মিক ও তীব্র বৃষ্টিপাতের ফলে ক্ষীর গঙ্গা নদীতে আকস্মিক বন্যা দেখা দেয়। যার ফলেই এই বন্যার সৃষ্টি হয়।


 

গ্রামবাসীদের থেকে জানা যায়,  ধ্বংসস্তূপের নিচে প্রায় ১০-১২ জন চাপা পড়ে থাকতে পারে। তারা আরও বলেন, প্রায় ২০-২৫টি হোটেল এবং হোমস্টে ভেসে যেতে পারে।  এছাড়াও, বায়কোট তহসিলের বনলাপট্টি এলাকাতে প্রায় ১৮ টি মত গৃহপালিত পশু স্রোতে ভেসে গেছে। ধরলি গ্রামে  মেঘ ভাঙনের ফলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় ১২-১৫ জনের অধিক  লোক চাপা পড়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে ।

উত্তরকাশীর মেঘ ভাঙনের ঘটনা সম্পর্কে, উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী জানান, "উত্তরকাশীর ধরালিতে মেঘ ভাঙনের ঘটনা সম্পর্কে আমাকে জানানো হয়েছে... আমরা মানুষকে উদ্ধারের জন্য কাজ করছি। জেলা প্রশাসন, ভারতীয় সেনাবাহিনী, এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফের কর্মকর্তারা মানুষকে উদ্ধার এবং তাদের বাঁচানোর চেষ্টা করছেন..."ভারতীয় সেনাবাহিনী, রাজ্য দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া বাহিনী এবং জাতীয় দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া বাহিনী, অন্যান্য উদ্ধারকারী দল সহ ঘটনাস্থলে পৌঁছাচ্ছে। এই অঞ্চলটি জনপ্রিয় পর্যটন স্থান হর্ষিল থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।আবহাওয়া বিভাগ ১০ আগস্ট পর্যন্ত উত্তরাখণ্ড জুড়ে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার সতর্কতা জারি করেছে, বিশেষ করে পাহাড়ি অঞ্চলে তীব্র বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

এই তৎক্ষণাৎ ঘটে যাওয়া হরপা বানের ফলে ধরালি গ্রামে বেশ কিছু মানুষ এখনও নিখোঁজ এবং এখনও অব্দি ৩৭ জনাকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্দার কাজে সরকারি দফতরের বেশ কিছু সেনারা নিযুক্ত হয়েছেন। আপাতত ৪ জন ব্যাক্তির নিহত হওয়ার খবর জানা গিয়েছে। এখনও উদ্ধার কাজ চলছে। উত্তরকাশী পুলিশ জানিয়েছে, "উত্তরকাশীতে, হরসিল এলাকার ক্ষীর গড়ের জলস্তর বৃদ্ধির কারণে, ধরালিতে ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে এবং পুলিশ, এসডিআরএফ, সেনাবাহিনী এবং অন্যান্য দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া দলগুলিকে ঘটনাস্থলে ত্রাণ ও উদ্ধারকাজে নিয়োজিত করতে বাধ্য করা হয়েছে।"

এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ গ্রামবাসীদের মনে এক বিভীষিকাময় দৃশ্যের সৃষ্টি করেছে। 



Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন