সরকারি চিঠিতে এবার 'বাংলাদেশী' তকমা দেওয়া হলো বাংলা ভাষাকে। শুরু হলো রাজনৈতিক তরজা।
দেশজুড়ে কেন্দ্র বাংলাদেশী প্রবেশকারীদের ওপর কড়া ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছে। একাধিক জায়গায় বাংলাদেশী সন্দেহে নির্বিচারে ধরা হচ্ছে বাংলাভাষী মানুষদের। এরই মধ্যে নতুন একটি বিতর্ক। বাংলা ভাষাকে "বাংলাদেশী ভাষা" তকমা দিলো দিল্লি পুলিশ। দিল্লির লোধি কলোনি থানার ইন্সপেক্টর বঙ্গ ভবনের ইনচার্জকে একটি চিঠিতে জানান, তাঁরা তদন্ত করে আটজন বাংলাদেশীকে শনাক্ত করতে পেরেছেন, যাঁরা বেআইনি ভাবে ভারতে রয়েছে। ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে পুলিশকর্তা এও জানান যে, তাঁদের থেকে উদ্ধার করা নথিতে লেখা রয়েছে "বাংলাদেশী ভাষা"য়! এই চিঠিটি ভাইরাল হতেই বিতর্কে ফেটে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়া। "বাংলাদেশী ভাষা" ঠিক কী, প্রশ্ন তোলেন অনেক বাঙালি! অনেকেরই মত, ক্রমাগত কোনঠাসা করা হচ্ছে বাংলাভাষী মানুষদের।
চিঠি প্রসঙ্গে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টও করেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সরাসরি বিজেপিকে আক্রমণ করে তিনি লেখেন, " এটি ভারতের সংবিধানের ৩৪৩ নম্বর অনুচ্ছেদ এবং অষ্টম তফসিলের সরাসরি লঙ্ঘন। “বাংলাদেশি” নামে কোনো ভাষা নেই। বাংলাকে বিদেশি ভাষা বলে অভিহিত করা শুধু অপমান নয়—এটা আমাদের জাতিসত্তা, সংস্কৃতি এবং অস্তিত্বের ওপরে সরাসরি আঘাত। বাঙালিরা তাদের নিজভূমে বহিরাগত নয়। এই কারণেই আমরা বিজেপিকে (BJP) “বাংলা বিরোধী” ও “জমিদার” বলি। ওরা ভারতের বৈচিত্র্যকে সম্মান করে না। বিভাজনই ওদের মূল পুঁজি।" পাশাপাশি তিনি ওই ইন্সপেক্টরকে বরখাস্ত করার দাবি জানান।
নিন্দনীয় ভাবে বাংলা ভাষাকে অপমান করা হচ্ছে। করছেন কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারীও। বাংলায় কথা বলার অপরাধে একাধিক ভাবে নির্যাতিত হচ্ছেন বহু মানুষ। কী অপরাধ তাঁদের? কেন বাংলাভাষা এতো অপমান সহ্য করবে, এই প্রশ্নও আশাকরি আমাদের করার অধিকার আছে!
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন